চেয়ার যোগ— রিস্ট রোটেশন বা কব্জি ঘূর্ণন। অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ।
চেয়ার যোগ— রিস্ট রোটেশন বা কব্জি ঘূর্ণন
দৈনিক কাজকর্মের জন্য হাত ব্যবহার করা হয়, অথচ সে ভাবে হাতের কোনও যত্ন নেওয়া হয় না। করতল ও বাহুর সংযোগস্থল কব্জির অস্থিসন্ধি অতিরিক্ত ব্যবহারে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এই অস্থিসন্ধি ভাল রাখতে রিস্ট রোটেশন ব্যায়ামটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। দাঁড়িয়ে বা মাটিতে বসেও এই যোগাসনটি করা যায়। কিন্তু অনেক সময় কাজের মধ্যে থাকলে উঠে দাঁড়িয়ে আসন করা হয়ে ওঠে না। বিকল্প হিসেবে চেয়ারে বসে আসনটি অভ্যাস করা যায়।
কী ভাবে করব
• চেয়ারের উপর মেরুদণ্ড সোজা করে পা ঝুলিয়ে বসুন। মাথা ও ঘাড় সোজা রাখুন। দুই পা মাটিতে রাখতে হবে। এ বার দুই হাত কোলের উপর রেখে টানটান হয়ে বসুন। এটি আসন শুরুর প্রাথমিক অবস্থান।
• দুই হাত কাঁধের উচ্চতায় সামনের দিকে বাড়িয়ে দিন। লক্ষ্য রাখবেন কনুই যেন সোজা থাকে।
আরও পড়ুন: ৬৪তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস
• এ বার দুই হাত একসঙ্গে মুঠো করুন। বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ যেন ভিতরের দিকে থাকে।
• এ বার মুষ্ঠিবদ্ধ দুই হাত একসঙ্গে কব্জি থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে অর্থাৎ ক্লকওয়াইজ ঘোরান।
• খেয়াল রাখবেন কনুই ও হাত যেন টানটান থাকে কাঁধ বরাবর উচ্চতায়।
• খুব ধীরে কব্জি থেকে হাত ঘোরানো শুরু করতে হবে। শুরুতে অসুবিধে হতে পারে। অভ্যাস করলে রপ্ত হয়ে যাবে।
• ক্লকওয়াইজ ৭ বার ও অ্যান্টি ক্লকওয়াইজ ৭ বার করে ঘোরাতে হবে।
আরও পড়ুন: ৬৩তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস
কেন করব
হাতের কব্জিতে ছোট ছোট অজস্র হাড় থাকে। নিয়মিত হাতের এক্সারসাইজ করলে অস্থিসন্ধি সুস্থ থাকে। বিশেষ করে, যাঁরা নাগাড়ে ডেস্কে কাজ করেন, কম্পিউটারে টাইপ করেন তাঁদের কব্জির অস্থিসন্ধির হাড় ও কার্টিলেজ ক্ষয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ ছাড়া হাতের অতিরিক্ত ব্যবহারে কব্জিতে ডিক্যু নামে এক সমস্যা হয়। এতে অত্যন্ত ব্যথা হয়। হাত নাড়াচড়া করতেও কষ্ট হয়। রিস্ট রোটেশন অভ্যাস করলে অস্থি সন্ধিতে রক্তচলাচলের মাত্রা বাড়ে, একই সঙ্গে অস্থি সন্ধির সায়নোভিয়াল ফ্লুইড নিঃসরণ বেড়ে যায়। ফলে আর্থ্রাইটিস-সহ নানা ব্যথা-বেদনার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।