চেয়ার যোগ: পাশাপাশি হাত উঁচু করা। অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ।
চেয়ার যোগ: পাশাপাশি হাত উঁচু করা
নাগাড়ে চেয়ারে বসে কম্পিউটারে কাজ করতে হলে হাত, কাঁধ ও ঘাড়ের পেশীতে চাপ পড়ে। পেশীর নমনীয়তা কমে গিয়ে স্টিফ হয়ে যায়। ফলে ব্যথার ঝুঁকি বাড়ে। আজকের চেয়ার যোগাসন পাশাপাশি হাত উঁচু করা। কাজে ফাঁকে সময় বার করে এই আসন অভ্যাস করলে পেশি নমনীয় থাকে এবং সহনশীলতা বাড়ে।
কী ভাবে করব
• চেয়ারে পা ঝুলিয়ে সোজা হয়ে বসুন। মেরুদণ্ড টানটান করে পা মাটিতে রাখুন। মাথা সোজা থাকবে। দুহাত চেয়ারের দুই পাশে ঝোলানো অবস্থায় রাখুন। এটিই আসন শুরুর অবস্থান।
• ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে নিতে দুই হাত দুদিকে সোজা করে ছড়িয়ে মাথার ওপরে তুলুন। যতটা সম্ভব হাত তুলতে হবে। বেশি জোর করে স্ট্রেন নেবার দরকার নেই। আরামদায়ক ভাবে যতটা তোলা যাবে ততটুকুই হাত তুলবেন।
আরও পড়ুন: ৬০তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস
• এ বারে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে দুই হাত চেয়ারে পাশে নামিয়ে আনুন। ঠিক যেখান থেকে শুরু করেছিলেন সেই অবস্থানে ফিরে আসুন।
• এক রাউন্ড সম্পূর্ণ হল। এই ভাবে ৫ – ৭ রাউন্ড অভ্যাস করতে হবে। মাথা, ঘাড় ও পিঠ সোজা রাখার চেষ্টা করুন।
• অভ্যাস শেষে চোখ বন্ধ করে আরামদায়ক ভাবে বসে ধীরে ধীরে শ্বাস প্রশ্বাস নিন, তারপর চোখ খুলুন।
• তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ধীরে আসনটি করা উচিৎ।
• কাঁধে বা হাতে খুব বেশি ব্যথা থাকলে পাশাপাশি হাত উঁচু করা এই আসন করবেন না।
আরও পড়ুন: ৫৯তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস
কেন করব
পাশাপাশি হাত তোলার এই আসনটি নিয়মিত অভ্যাস করলে কাঁধের অস্থিসন্ধি সচল থাকে। ফলে ফ্রোজেন শোল্ডারের মতো সমস্যা দূরে সরিয়ে রাখা যায়। বক্ষদেশ ও শরীরের উপরিভাগ প্রসারিত হয়। নিয়মিত অভ্যাস করলে হাতের শক্তি বাড়ে। বক্ষদেশ প্রসারিত হলে মনের চাপ ও উদ্বেগ অনেকাংশে দূর হয়। ডিপ্রেশন বা অবসাদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যাঁরা মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন, তাঁদের মন ভাল হতে সাহায্য করে চেয়ারে বসে পাশাপাশি হাত উঁচু করার এই আসনটি। সময়ের অভাব, এই অজুহাত দিয়ে আসন করা এড়িয়ে না গিয়ে অফিসে কাজের ফাঁকে আসন অভ্যাস করে নিন।