প্রতীকী ছবি
একে ঋতু বদল, তার উপরে করোনার হানা। ‘লকডাউন’ হওয়ার ফলে সকলে মিলে গৃহবন্দিও। চট করে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার উপায় নেই। তাই এখন কী করবেন, কী করবেন না— এই নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে রইল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ।
লকাডাউনে বাড়িতে বন্দি হয়ে থাকা শিশুদের টিভি দেখা এবং মোবাইল ফোনে গেম খেলা বেড়ে গিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে এ সব সামলাতে করারও কিছু থাকে না। কিন্তু এতে ছোটদের মনে প্রভাব পড়ে। শিশু-কিশোরদের স্বকীয়তা ও সৃজনশীলতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এই অবস্থায় কী করবেন, পরামর্শ দিচ্ছেন বালুরঘাট হাসপাতালের চিকিৎসক পিডি ভুটিয়া।
• করোনার চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ক্ষেত্রে সাবধানতা বেশি প্রয়োজন। করোনা ধরা পড়েছে এবং আইসোলেশনে রয়েছেন, এরকম রোগীর ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। অন্তত, ৩-৬ ফুট। আইসিইউয়ের ক্ষেত্রে তা রাখা সম্ভব নয়।
• সাধারণ আইসোলেশন ওয়ার্ড হোক, বা আইসিইউ সব জায়গায় মাস্ক পড়তে হবে। আইসিইউয়ে অবশ্যই এন-৯৫। তার সঙ্গে পিপিই বা প্রোটেকটিভ সুট রাখতে হবে। এবং একবার ব্যবহারের পর সেই পোষাক বিধি মেনে নষ্ট করে দিতে হবে। আইসিইউ রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের আরও সাবধান থাকতে হবে।
• যারা করোনায় কাজ করছেন, তাঁদের প্রশিক্ষণ দিলে ভাল হয়। কারণ ওয়ার্ডের ভিতরে রোগীদের হাঁচি, কাশি থেকে, নিজের মুখে, চোখে হাত দেওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান হওয়া খুব প্রয়োজন। ফাইলপত্র, সামগ্রী ঘাঁটার ক্ষেত্রেও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।
• স্বাস্থ্যকর্মীদের সাতদিন পর রিলিফ দিয়ে কোয়রান্টিনে নজরদারিতে রাখতে হবে। সাত দিন পর তাঁদের উপসর্গ না দেখা দিলে তাঁরা আবার কাজ করতে পারেন।
• নজর রাখতে হবে, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিজের স্বাস্থ্যের দিকেও। তার জন্য তাঁদেরও পর্যাপ্ত ঘুমোতে হবে, খালি পেটে ওয়ার্ডে যাওয়া চলবে না এবং প্রচুর জল খেতে হবে সারাদিনে। কারণ তাঁরা আক্রান্ত হলে পুরো স্বাস্থ্যব্যবস্থাটাই ভেঙে পড়তে পারে।
• একটু বয়স্ক স্বাস্থ্যকর্মী হলে তাঁকে আরও সচেতন হতে হবে। তাঁরা মাল্টি ভিটামিন খেতে পারেন রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে। দুই বেলা লবন গরমজলে গার্গল করবেন, গরম জল খাবেন। গরম স্যুপ, কফি, চা খেতে পারলে ভাল।