এই ধরনের বাসনপত্রেই আমাদের এখন খেতে হবে। ছবি শাটারস্টকের সৌজন্যে।
করোনাভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণ রুখতে আমরা বাড়িতে কী ধরনের বাসনপত্রে খাওয়াদাওয়া করছি, আর সেগুলি যথাযথ ভাবে পরিষ্কার করা হচ্ছে কি না, সেটাও কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকেরা বলছেন, কোন ধরনের বাসনপত্রে আমরা খাওয়াদাওয়া করব, সেটা আগে জেনে নেওয়া দরকার।
অনেক দিন আগে আমরা বাড়িতে তামা বা পিতলের থালা, বাটিতে খেতাম। তামা বা পিতলের গ্লাসে জল খেতাম। এখন আর বাড়ির রান্নাঘরে বা ডাইনিং টেবিলে তামা বা পিতলের থালা, বাটি, গ্লাস দেখা যায় না। তার জায়গায় চলে এসেছে স্টেনলেস স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম, কাচের বা আনব্রেকেব্ল পদার্থে তৈরি ডিশ, প্লেট, বাটি, এমনকী গ্লাসও। জল খাওয়ার জন্য বাড়িতে আকছার ব্যবহার করি প্লাস্টিকের বোতল। দিনের পর দিন একই বোতলের জল খেয়ে চলি।
কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, করোনা সংক্রমণের জেরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে রান্নাবান্না ও খাওয়ার বাসনপত্র নির্বাচনে অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে। সেগুলি সব সময় পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে আরও বেশি যত্নবান হতে হবে।
আরও পড়ুন- চশমা, মোবাইল, বাজারের থলে থেকেও হতে পারে করোনা সংক্রমণ, সাবধান হোন!
আরও পড়ুন- করোনা থেকে বাঁচতে লকডাউনেও জামা-কাপড় বদলান, কাচুন ঘন ঘন
চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস জানাচ্ছেন, সবচেয়ে ভাল স্টেনলেস স্টিল বা অ্যালুমিনিয়ামের বাসনপত্রে রান্নাবান্না করা। আর স্টেনলেস স্টিল, কাচ বা আনব্রেকেব্ল পদার্থে তৈরি ডিশ, প্লেট, বাটিতে খাওয়াদাওয়া করা। গ্লাসও কাচের হলেই সবচেয়ে ভাল। কারণ, এই সব পদার্থের উপর ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস অনেক ক্ষণ বেঁচে থাকে এমন প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। তবে এই সব পদার্থে তৈরি ডিশ, প্লেট, বাটি, গ্লাস সব কিছুই এখন আরও ভাল ভাবে ধুয়ে ও মুছে নিতে হবে।
প্লাস্টিকের বোতল এড়িয়ে চলাই ভাল, বলছেন চিকিৎসকেরা। - ফাইল ছবি।
তবে জলের বোতল প্লাস্টিকের না হলেই সবচেয়ে ভাল হয়।
অরিন্দমের কথায়, ‘‘এখন স্টেনলেস স্টিলের বোতলও পাওয়া যায়। তাতেই জল খাওয়া ভাল। আর যদি প্লাস্টিকের বোতলে জল খেতেই হয়, তা হলে এক থেকে দু’দিন অন্তর সেই বোতল ফেলে দিয়ে নতুন বোতল এনে তাতে জল ভরে রাখা উচিত। না হলে বোতলের নীচে থিতিয়ে পড়া অংশে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস আস্তানা গাড়তে পারে।’’