এখন বার বার ধুতে হচ্ছে, হাতের ক্ষতি হচ্ছে তাতে। ছবি শাটারস্টকের সৌজন্যে।
এখন এই লকডাউনের সময় বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরেই দু’টি হাত খুব ভাল ভাবে ধুয়ে নিতে হচ্ছে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে। শুধু তাই নয়, বাড়িতে থাকলেও ঘণ্টায় ঘণ্টায় হাত ধুয়ে নিচ্ছি আমরা। চিকিৎসক ও বিউটিশিয়ানরা বলছেন, এর ফলে যাতে হাতের তালু ও ত্বকের কোনও ক্ষতি না হয় সে জন্য ধোওয়ার পর দু’টি হাত খুব ভাল ভাবে মুছে নিতে হবে।
তাঁদের বক্তব্য, হাতে জল থেকে গেলে হাজা হতে পারে। হতে পারে এগজিমা-সহ নানা ধরনের চর্মরোগ। ঘা হতে পারে হাতের তালুতে। তার ফলে, ডায়াবিটিস বা কিডনির অসুখে দীর্ঘ দিন ধরে ভুগছেন যাঁরা, তাঁদের আরও নানা রকমের বাড়তি অসুখে পড়তে হতে পারে বলেও মনে করছেন তাঁরা। তাই হাত ধুয়ে খুব ভাল ভাবে মুছে ফেলাটা খুব জরুরি।
হাত ধোওয়ার পর কী কী করতে হবে?
চিকিৎসকদের বক্তব্য, হাত ধোওয়ার পরেই তা খুব ভাল ভাবে মুছে নিতে হবে। যাতে জলকণা থেকে না যায়। তার পর হাতের তালুতে ভাল হ্যান্ড ময়শ্চারাইজার বা অ্যান্টিবায়োটিক লোশন মেশানো ময়শ্চারাইজার মেখে নিতে হবে। যাতে হাতের তালুকে রক্ষা করা যায়। যদি গ্লাভস পরি, তা হলে তার আগে হ্যান্ড ময়শ্চারাইজার বা অ্যান্টিবায়োটিক লোশন মেশানো ময়শ্চারাইজার মেখে নেওয়াটা খুব প্রয়োজন। না হলে গ্লাভসের মধ্যে হাতের তালু ঘেমে গিয়ে হিতে বিপরীত হতে পারে।
হাত ভাল ভাবে না মুছলে কী কী ক্ষতি হতে পারে?
বিউটিশিয়ান শর্মিলা সিংহ ফ্লোরা জানাচ্ছেন, হাতের তালুতে কোনও ছিদ্র থাকে না। যা থাকে আমাদের ত্বকে। তাই আমাদের হাতের তালু তুলনায় বেশি রুক্ষ। বার বার সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুলে হাতের তালু আরও রুক্ষ হয়ে যাবে। সব রকমের স্যানিটাইজারও গুণমাণে উৎকৃষ্ট নয়। তার মধ্যে ইথাইল অ্যালকোহল থাকার কথা। ‘‘কিন্তু অনেক হ্যান্ড স্যানিটাইজারেই এখন ইথাইল অ্যালকোহলের পরিবর্তে মিথাইল অ্যালকোহল ব্যবহার করা হচ্ছে। তার ফলে, ঘা, হাজা, এগজিমা-সহ নানা ধরনের চর্মরোগ হতে পারে’’, বলছেন শর্মিলা।
আরও পড়ুন: স্যানিটাইজার মিলছে না? হাত ধুতে এর চেয়েও ভাল বিকল্প কী?
আরও পড়ুন: মোবাইলেও ঘাপটি মেরে থাকে করোনাভাইরাস, কী ভাবে ব্যবহার করলে দূরে থাকবে অসুখ?
গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।