করোনার চিকিৎসায় এখন বাতিল আগের বহু ওষুধই। ছবি: সংগৃহীত
কোভিড সংক্রমণ থেকে বাঁচতে টিকাই একমাত্র রাস্তা। কিন্তু টিকা আসার আগে পর্যন্ত নানা ভাবে চিকিৎসা হয়েছে কোভিডের। এখনও কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে, তাঁকে নানা ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্তু আগে করোনার চিকিৎসায় যে যে পদ্ধতি বা ওষুধের প্রয়োগ হয়েছে, তার অনেকগুলিই এখন বাতিলের তালিকায়।
দেখে নেওয়া যাক, সেগুলি কী কী।
১। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন: ম্যালেরিয়ার এই ওষুধটি প্রাথমিক পর্যায়ে করোনা চিকিৎসায় ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু পরে বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কোভিডের জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করার জন্য এর বিশেষ কোনও ভূমিকা নেই।
২। আইভারমেকটিন: পরজীবী সংক্রমণ ঠেকানোর এই ওষুধটিও করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী কালে দেখা গিয়েছে, এই ওষুধের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। শুধু তাই নয়, এর প্রয়োগে কিছু ক্ষেত্রে ক্ষতিও হতে পারে। ফলে বহু চিকিৎসকই আর এই ওষুধ ব্যবহার করতে চান না।
৩। লোপিনাভির, রিটোনাভির: এগুলি ভাইরাসের মোকাবিলা করার ওষুধ। প্রাথমিক পর্যায়ে এগুলিও নানা জায়গায় রোগীদের উপর প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু তাতে মৃত্যুর হার না কমায়, শেষ পর্যন্ত বাতিল করা হয় এগুলির প্রয়োগ।
৪। অ্যাজিথ্রোমাইসিন: বাড়িতেই যাঁদের কোভিডের চিকিৎসা চলছে, তাঁদের অনেকের ক্ষেত্রে এই জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাপক ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু দেখা গিয়েছে, এতে ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত বিশেষ কমে না। ফলে হালে এগুলিকেও বাতিলের তালিকায় ফেলছেন অনেক চিকিৎসকই।
৫। প্লাজমা থেরাপি: করোনা চিকিৎসার প্রথম পর্যায়ে এটিকেও গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে ধরা হয়েছিল। নেটমাধ্যম প্রতিদিন ভরে যেত প্লাজমার দাবিতে। কিন্তু পরে দেখা গিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তিকে সেরে ওঠা মানুষের প্লাজমা দিলেও বিশেষ লাভ হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, যে ভাবে প্লাজমা দেওয়া নেওয়ার কথা বলা হচ্ছিল, তাও খুব একটা বিজ্ঞানসম্মত নয়। ফলে এটিও এখন বাতিলের তালিকায়।