করোনার তৃতীয় তরঙ্গ কখন আসতে পারে? ছবি: সংগৃহীত
করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা কমছে না। কারণ ‘আর ফ্যাক্টর’ কমছে না। আর সেটাই চিন্তায় ফেলেছে বিজ্ঞানীদের। এই ‘আর ফ্যাক্টর’ই পূর্বাভাস দিচ্ছে ভারতে করোনার তৃতীয় তরঙ্গের সময়কালের।
কী এই ‘আর ফ্যাক্টর’?
সম্প্রতি চেন্নাইয়ের ‘ইনস্টিটিউট অব ম্যাথামেটিক্যাল সায়েন্সেস’-এর তরফে একটি সমীক্ষা চালানো হয় ভারতে করোনা সংক্রমণ নিয়ে। সেখানেই এই ‘আর ফ্যাক্টর’-এর প্রসঙ্গটি উঠেছে।
১ জন সক্রিয় রোগীর থেকে কত জন সংক্রমিত হচ্ছেন, তার অনুপাতই হল ‘আর ফ্যাক্টর’।
এই ‘আর ফ্যাক্টর’-এ মান যদি ১-এ বেশি হয় তা হলে বুঝতে হবে, ১ জন সক্রিয় রোগীর থেকে ১-র বেশি মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন।
এ বার উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বুঝে নেওয়া যাক। মে মাসের মাঝামাঝি ভারতে ‘আর ফ্যাক্টর’-এ মাত্রা ছিল ০.৭৮। অর্থাৎ ১০০ জন সক্রিয় রোগীর থেকে ৭৮ জন সংক্রমিত হচ্ছিলেন। তাতেই ধীরে ধীরে কমছিল সংক্রমণের হার। কিন্তু জুনের শেষে এসে আবার তা পৌঁছে গিয়েছে ০.৮৮-এ। অর্থাৎ ১০০ জন সক্রিয় রোগীর থেকে এখন সংক্রমিত হচ্ছেন ৮৮ জন।
৯ মার্চ থেকে ২১ এপ্রিলের মধ্যে দেশে এই ‘আর ফ্যাক্টর’-এর মান ছিল ১.৩৭। অর্থাৎ প্রতি ১০০ জন সক্রিয় রোগীর থেকে ১৩৭ জন সংক্রমিত হচ্ছিলেন।
কোন কোন রাজ্যে সবচেয়ে আগে পড়তে পারে তৃতীয়তরঙ্গের প্রভাব?
বর্তমানে ‘আর ফ্যাক্টর’-এর মান বিচার করে গবেষকদলের সদস্যদের দাবি, অক্টোবর-নভেম্বর নাগাদ তৃতীয় তরঙ্গ ভারতে ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছতে পারে। গোড়াতেই কেরল এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে এর প্রভাব সর্বাধিক পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওই সময়ের জন্য সকলকে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকেরা। বলেছেন, ওই সময়ে বেড়াতে যাওয়া বা অপ্রয়োজনে বেশি যাতায়াতের বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত। না হলে এর ফল ভয়ঙ্কর হতে পারে।