করোনা নাকি সোয়াইন ফ্লু? ছবি: সংগৃহীত
কোভিডের আতঙ্ক একটু কমেছে। কিন্তু তার মধ্যেই উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সোয়াইন ফ্লু। কোভিড সেরে যাওয়ার পরে জ্বর বা সর্দি-কাশি না কমলে সোয়াইন ফ্লু-র পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
কী এই সোয়াইন ফ্লু?
২০০৯ সালে আমেরিকায় প্রথম এই ভাইরাসটির অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়। সেখান থেকেই সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পরে এটি। প্রথম অবস্থায় এটি রীতিমতো উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল চিকিৎসকদের কাছে। কিন্তু পরবর্তী কালে এটি এখন সাধারণ সর্দি-জ্বর সৃষ্টিকারী ভাইরাসের একটিতে পরিণত হয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে যাকে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস বলা হয়, এটিও সেই গোত্রের একটি জীবাণু।
এটি ছড়ায় কী ভাবে?
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যে ভাবে হয়, সেই একই ভাবে শ্বাসের মাধ্যমে ছড়ায় এই ভাইরাস। এবং মূলত ফুসফুসেই সংক্রমণ ঘটায়।
এর উপসর্গ কী কী?
এর উপসর্গের ধরনও প্রাথমিক ভাবে করোনা সংক্রমণের উপসর্গের মতোই। জ্বর-সর্দি-কাশি। অল্প শ্বাসকষ্ট। অনেকের ক্ষেত্রেইই এমন উপসর্গ দেখে করোনা সংক্রমণ বলে সন্দেহ হলেও, পরে দেখা গিয়েছে, তাঁরা সোয়াইন ফ্লু-এ আক্রান্ত।
উদ্বেগ বাড়ছে সোয়াইন ফ্লু নিয়ে।
দু’টি অসুখের ক্ষেত্রে পার্থক্য কী কী?
করোনাভাইরাসের প্রভাব ফুসফুস থেকে শুরু হলেও সারা শরীরে এর প্রভাব প়ড়তে পারে। সোয়াইন ফ্লু-এ সাধারণত তা হয় না। আবার সোয়াইন ফ্লু কম বয়সিদের বেশি মাত্রায় আক্রান্ত করে। যা করোনার ঠিক উল্টো। এ ছাড়া করোনার ক্ষেত্রে বেশির ভাগ আক্রান্তেরই গন্ধের বোধটা অনেক কমে যায়। সোয়াইন ফ্লু-র ক্ষেত্রে এমন কিছু হয় না।
ভয় কতটা?
সাধারণ সোয়াইন ফ্লু খুব বিপজ্জনক ভাইরাস নয়। এখন এটি সাধারণ জ্বর-সর্দির ভাইরাসের মতোই আচরণ করে। কিন্তু যাঁদের রোগপ্রতিরোধ শক্তি কম, যাঁরা সদ্য করোনা সারিয়ে উঠেছেন— তাঁদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাসটি বড় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাই এ বিষয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।