অনুভূতিসম্পন্ন রোবট বানিয়ে বিজ্ঞানমহলে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে চেন্নাইয়ের বাসিন্দা প্রতীক। ছবি-সংগৃহীত
প্রশ্ন করা হলে উত্তর দেয়। বকা দিলে চুপ করে থাকে। গোসা হয়। যিনি বকা দিলেন, তাঁকে গিয়ে মান ভাঙাতে হয়। অন্যের দুঃখ, আনন্দ সহজে ধরতে পারে। না, কোনও মানুষের কথা বলা হচ্ছে না, চারপেয়ে পোষ্যও নয়। যন্ত্রপাতি দিয়ে গড়া একটি আস্ত রোবট। যন্ত্র বলে কি আবেগ থাকতে নেই? অনুভূতি থাকবে না? অনুভূতিসম্পন্ন রোবট বানিয়ে বিজ্ঞানমহলে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে চেন্নাইয়ের বাসিন্দা প্রতীক। ১৩ বছর বয়সি কিশোরের এমন আবিষ্কার রোবট তৈরির সংজ্ঞাটাই বদলে দিয়েছে। প্রতীক তাঁর তৈরি রোবটটির নাম রেখেছে ‘রফি’।
রফি যেন অবিকল ‘রোবট’ ছবির ‘চিট্টি’। সিনেমার পর্দা থেকে যেন সরাসরি উঠে এসেছে বাস্তবে। ‘রোবট’ ছবির ‘চিট্টি’র অনেক গুণ ছিল। তার মধ্যে অন্যতম হল মানুষের আবেগ বুঝতে পারা। ‘রফি’ও এমন অদ্ভুত ক্ষমতাসম্পন্ন।
প্রতীকের এই আবিষ্কারের কথা প্রকাশ্যে আসতেই প্রশংসার ঝড় উঠেছে। প্রযুক্তির সঙ্গে মানবিক আবেগকে মিলিয়ে দেওয়ার এই প্রয়াসকে সম্মান জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরাও। তবে এই আবিষ্কার নিয়ে এখনও কোনও প্রতিষ্ঠিত সংস্থা বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বীকৃতি পায়নি প্রতীক। তার দাবির সত্যতাও যাচাই করেনি ‘আনন্দবাজার অনলাইন’।