গুগলের নতুন আবিষ্কার। ছবি: সংগৃহীত
গুগলের ‘ডিপ মাইন্ড’ তৈরি করেছে একটি অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। আর এর হাত ধরে নাকি বদলে যেতে পারে মানবসভ্যতার অভিমুখ!
বৃহস্পতিবার গুগলের তরফে ঘোষণা করা হয়, তাদের ‘ডিপ মাইন্ড’ দেখিয়ে দিতে পারে মানুষের জ্ঞাত সব ধরনের প্রোটিনের ত্রিমাত্রিক গঠন। যে কোনও প্রাণীর দেহের গঠনগত একক প্রোটিন। অর্থাৎ, মানবদেহের প্রতিটি কোষই আসলে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন দিয়ে তৈরি। কিন্তু এই প্রোটিনগুলির অধিকাংশের গঠন এখনও অজানা। ঠিক এ জায়গাতেই কাজে আসতে পারে গুগলের এই কৃত্রিম মেধা নির্ভর ব্যবস্থাটি। গুগলের দাবি, ২০ কোটি প্রোটিনের গঠন কেমন, তা বলে দিতে পারে ডিপ মাইন্ড। ফলে সমাধান হয়ে যেতে পারে জীব বিজ্ঞানের কঠিনতম রহস্যগুলিরও।
২০২০ সালের নভেম্বর মাস থেকে ‘আলফাফোল্ড’ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে ডিপ মাইন্ড। এই কৃত্রিম মেধা মানুষের জানা যে কোনও রকমের প্রোটিনের সম্ভাব্য গঠন কী হতে পারে, তা নিয়ে আলোকপাত করতে পারে বলে জানিয়েছিল গুগল। এর মধ্যেই ১৯০টি দেশের প্রায় ৫ লক্ষ বিজ্ঞানী আলফাফোল্ড ব্যবহার করেছেন। কিন্তু এখনও সেটি সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত নয়। কাজ চলছে। আলফাফোল্ড আরও উন্নত করা গেলে প্রোটিন সংক্রান্ত আরও বহু প্রশ্নের উত্তর মিলবে বলে দাবি গুগল কর্তৃপক্ষের। গোটা বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত গুগলের সিইও সুন্দর পিচাইও। আলফাফোল্ড একটি মাইলফলক বলে টুইটারে দাবি করেছেন তিনি।