টাক নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকাই শ্রেয় ছবি: শাটরস্টক।
কর্মক্ষেত্রে কোনও সহকর্মীর টাক নিয়ে মন্তব্য করা, মহিলা সহকর্মীর স্তনের আকার নিয়ে কথা বলার সমতুল। তাই এই ধরনের কোনও মন্তব্য যৌন হেনস্থার সামিল। সাম্প্রতিক একটি মামলার শুনানিতে এমনই রায় দিল ব্রিটেনের একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
টনি ফিন নামের এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রির আনা অভিযোগের ভিত্তিতে এমন রায় দিয়েছে ব্রিটেনের কর্মচারী নিয়োগ ট্রাইব্যুনাল। সূত্রের খবর, পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের একটি সংস্থায় দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাজ করতেন ঐ ব্যক্তি। ২০২১ সালের মে মাসে আচমকাই ছাঁটাই করা হয় তাঁকে। তার পরই আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি। টনি অভিযোগ করেন, তর্কাতর্কির সময় একাধিক বার তাঁকে ‘টেকো’ বলে গালিগালাজ করেন ফ্যাক্টরি সুপারভাইজার জেমি কিং। ৩০ বছরের ছোট সুপারভাইজারের এহেন মন্তব্যে তিনি ‘অসুরক্ষিত’ বোধ করছিলেন বলেও বিচারকদের জানান টনি।
রায় দেওয়ার সময়, তিন সদস্যের বিচারকমণ্ডলী জানিয়েছে, যেহেতু টাক পড়ার সমস্যা নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে বেশি প্রবল, তাই কারও টাক নিয়ে কটূক্তি করার মধ্যে মিশে আছে লিঙ্গচেতনা। বিচারকদের আরও বক্তব্য, এর আগেও একাধিক মামলায় দেখা গিয়েছে মহিলা সহকর্মীর স্তনের আকার নিয়ে কথা বলায় যৌন হেনস্থার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন মানুষ। তাই এই ধরনের মন্তব্যতে সম্মানহানি ঘটেছে টনির। তবে সিদ্ধান্ত ঘোষণা হলেও সাজা ঘোষণা কিছু দিন পরে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতিরা।