দুবাইয়ের ‘মেম’ বৌ সৌদি। ছবি: সংগৃহীত।
লন্ডনে জন্ম। সেখানেই বড় হয়ে ওঠা। তার পর কোটিপতি পাত্রের গলায় মালা দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে পাড়ি দেওয়া। সে দেশে গিয়ে প্রাচুর্যে আর বিলাসিতায় মোড়া জীবন, ভ্লগের মাধ্যমে তুলে ধরা। ইদানীং এটাই নাকি ‘ট্রেন্ড’ হয়ে গিয়েছে। তার অন্যতম উদাহরণ, ইংল্যান্ডের পশ্চিম সাসেক্সের মেয়ে বছর ২৬-এর সৌদি আল নাদাক। এখন অবশ্য তিনি বিবাহসূত্রে আরব আমিরশাহির বাসিন্দা। সে দেশের বাসিন্দা ৩২ বছর বয়সি জামাল আল নাদেককে ভালবেসেই বিয়ে করেছেন তিনি।
বিয়ের পরেই নিজের জন্মভিটে ছেড়ে স্বামীর হাত ধরে মধ্যপ্রাচের দেশে পাড়ি দিয়েছেন। তাঁর স্বামী জামালের আর্থিক অবস্থা কেমন সেটা বোঝাতে, কোটিপতি শব্দটিও ঠিক পর্যাপ্ত নয়। ফলে তাঁরা ঠিক কতটা বিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্ত, সেটা বোধহয় আলাদা করে বলে দেওয়ার দরকার পড়ে না।
সৌদি নিজে একজন ভ্লগার। তিনি নিজেদের রোজের জীবনই তুলে ধরেন তাঁর ভিডিয়োয়। বিয়ের পর থেকেই এই পেশায় এসেছেন সৌদি। বদলে ফেলেছেন নিজের নামও। জন্মসূত্রে পাওয়া নাম তিনি প্রকাশ্যে আনতে চান না।
সমাজমাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় সৌদি। তাঁর ভিডিয়ো দেখতে অপেক্ষা করেন দর্শকেরা। এর মধ্যেই তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা দেড় লক্ষ ছাড়িয়েছে। তাঁদের রোজের খাওয়াদাওয়া থেকে কেনাকাটা, সব কিছুই সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবু এমন জীবনের ভিডিয়ো দেখতে পছন্দ করেন অনেকেই। মাঝেমাঝে লাইভে এসে অনুরাগীদের প্রশ্নের উত্তরও দেন তিনি।
সৌদির একটি লাইভ ভিডিয়ো প্রচণ্ড জনপ্রিয় হয়েছিল, যেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘‘ছেলে মাত্রেই মিথ্যে কথা বলে। তাই ঠকতে যখন হবেই, তখন এমন ছেলেকে বিয়ে করা ভাল যে, আমাকে প্রতি মাসে লুই ভিঁতোর ব্যাগ কিনে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।’’
একা সৌদি নন, ইরানের বাসিন্দা সাফা সিদ্দিকীর জীবনও প্রায় একই রকম। আগে লন্ডনের একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থায় চাকরি করতেন সাফা। বিয়ে করেন আরব আমিরশাহির বাসিন্দা ফাহাদ সিদ্দিকীকে। বিয়ের পর শ্বশুরবা়ড়ির দেশেই পাকাপাকি ভাবে থাকতে শুরু করেন।
নেটফ্লিক্সের ‘দুবাই ব্লিং’ অনুষ্ঠানের একটি পর্বে এই দম্পতি এর মধ্যেই পরিচিত হয়ে উঠেছেন। তাঁদের বিলাসবহুল জীবন সমাজমাধ্যমে অন্যতম চর্চার বিষয়। সৌদি এবং সাফা দু’জনেই অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে ভালবাসাটাই আসল। প্রেমের টানেই নিজের দেশ ছেড়ে স্বামীর সঙ্গে ঘর করতে ভিন্ দেশে এসে থাকছেন। তবে নিন্দুকেরা অবশ্য বলেন, প্রেমের চেয়েও এখানে এগিয়ে আছে সম্পদ আর অর্থ। সেই মোহেই দুবাই গিয়েছেন তাঁরা।