প্রস্রাবের মাধ্যমে পরীক্ষা করা অনেক বেশি সহজ। প্রতীকী ছবি।
হালের গবেষণা বলছে, প্রস্রাবে থাকা একপ্রকার সূক্ষ্ম প্রোটিন ইঙ্গিত দিতে পারে মস্তিষ্কে আদৌ টিউমারের অস্তিত্ব আছে কি না। গবেষণায় বলা হয়েছে যে এই পরীক্ষার মাধ্যমেই জটিল কোনও পদ্ধতি ছাড়াই তা সনাক্ত করে ফেলা সম্ভব কারও মস্তিষ্কে টিউমার আছে কি না। এতে রোগ নির্ণয়ে এবং চিকিৎসা বা অস্ত্রোপচার সুবিধা হয়।
জাপানের নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার সনাক্ত করা আগের চেয়ে অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মস্তিষ্কের ক্ষেত্রে তা এখনও বেশ সমস্যাদায়ক।
চিকিৎসকদের কাছে মস্তিষ্কে এই ধরনের জটিলতা ধরা পড়ার প্রাথমিক লক্ষণগুলি হল স্নায়ুর অস্বাভাবিকতা। যেমন চলাফেরা করতে, কথা বলতে বা মস্তিষ্ক নির্ভর যে কোনও কাজ করতে অসুবিধা হওয়ার উপর। কিন্তু এই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে মাথার টিউমারে থাকে এমন একটি কোষ বা ‘এক্সট্রাসেলুলার ভেসিকল’, প্রস্রাবের মধ্যেও উপস্থিত থাকে।
গবেষকদের প্রধান তাকাও ইয়াসুই বলেন, “প্রস্রাব পরীক্ষা করার অনেক উপকারিতা রয়েছে। শরীরের বেশির ভাগ রোগই আমরা এই পরীক্ষার মাধ্যমে সনাক্ত করে ফেলতে পারি। ক্যানসারের ক্ষেত্রে তা যুগান্তকারী বলা যেতেই পারে।”
যদিও ক্যানসার নির্ধারণের প্রচলিত পদ্ধতিগুলি বা রক্ত পরীক্ষাগুলি নিঃসন্দেহে নির্ভরযোগ্য। কিন্তু প্রস্রাবের মাধ্যমে পরীক্ষা করা অনেক বেশি সহজ এবং ‘নন ইনভেনসিভ’।