বোতল ভর্তি ইতিহাস! একটা শিশিতে অন্তত চল্লিশ রকমের মশলা। মিলেমিশে তৈরি হল ‘বটল মসালা’। কী নেই তাতে? জিরে, ধনে, লঙ্কা গুঁড়ো থেকে শুরু করে কেশর, গোলমরিচ— আরও কত কী! লর্ড ক্লাইভের মন জয় করতে এমনই এক ম্যাজিক সৃষ্টি করেছিলেন তাঁর শেফ। সেই মশলার রান্না খেয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন ক্লাইভ। কিন্তু ইংরেজরা চলে যাওয়ায় দেশ থেকে প্রায় হারিয়েই গিয়েছিল সেই মশলার ব্যবহার। সিগরি-র শেফ তার খোঁজ পেলেন বিলেত ভ্রমণে গিয়ে। দেশে ফিরে এসেই সযত্নে তৈরি করে ফেললেন সেই ‘বটল মসালা’। তার ব্যবহারে সামুদ্রিক মাছ গ্রিল করে এখন রীতিমতো জমিয়ে তুলেছেন খাদ্য উৎসব। রেসিপির নাম ইস্ট ইন্ডিয়ান গ্রিলড্ ফিশ। এক সময়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাহেবদের মন কেড়েছিল বাঙালি হাতের এই স্বাদই।
সমুদ্র পাড়ের হেঁশেলে রান্নার স্বাদ-গন্ধ সব সময়েই একটু অন্য রকম। সে গোয়া, কেরলের রান্নাই হোক বা গুজরাত, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গের উপকূল অঞ্চলের কোনও রেসিপি। তাতে থাকবেই কিছু এলাকার বিশেষ তুকতাক। তেমনই কিছু এলাকার বাছাই করা কিছু রান্না নিয়ে সিগরি-তে চলছে খাদ্য উৎসব। ইংরেজ আমলের বটল মসালা দিয়ে মাছও সেই মেনুরই অঙ্গ। একই মশলায় তৈরি সেখানে ক্রিসপি বেবিকর্নও। পাশাপাশি সে উৎসবে চেখে দেখা যায় গোয়ার বিখ্যাত মটন ভিন্দালু, কেরলের নিজস্ব কায়দায় স্কুইড ভাজা, নাম কারারি কালামারি, দক্ষিণী ঘরানায় নারকেল আর চালের পায়েস, গুজরাতি আম শ্রীখণ্ড।