ফিট থাকার জন্য কতটা কড়া ডায়েট মেনে চলেন সোনম? ছবি: সংগৃহীত।
ছিপছিপে শরীর। পাতলা কোমর। তন্বী চেহারা। শরীরে কোথাও মেদের ছিঁটেফোঁটা নেই। মা হওয়ার পরেও কী করে এত ফিট থাকেন সোনম, সেই নিয়ে অনেকরই মনে প্রশ্ন জাগে। সাধারণত অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই চেহারায় বদল আসতে শুরু করে হবু মায়েদের। সোনমও তাঁর ব্যতিক্রম ছিলেন না। পর্দার চেনা সোনমও একেবারে বদলে গিয়েছিলেন। ওজন বেড়ে গিয়েছিল। অন্তঃসত্ত্বাকালীন সময়ের ছবি নিজেই ভাগ করে নিয়েছিলেন সোনম। তবে কয়েক মাসের মধ্যেই একে বারে আগের চেহারায় ফিরেছেন তিনি।
সম্প্রতি একটি পোস্টে নিজের ডায়েট রহস্য ফাঁস করেছেন সোনম। কী খেয়ে এতটা ফিট থাকেন তিনি? ভিডিয়োর মাধ্যমে সারা দিনের ডায়েট প্ল্যান ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। সকাল ৬টার সময় সোনম দিন শুরু করেন ঈষদুষ্ণ লেবুজল দিয়ে। খালি পেটে খাওয়া এই পানীয় সোনমের হজমশক্তি বৃদ্ধি করে, শরীরে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি পূরণ করে। তার পর অভিনেত্রী ওট্স মিল্ক, কোলাজেন আর চকোলেট দিয়ে তৈরি কফি খান। নিজের কফি নিজেই তৈরি করেন তিনি। ঘড়িতে ৬:৪৫ বাজলে তিনি ভেজানো কাঠবাদাম খান, এর মাধ্যমে তাঁর শরীরে ফাইবার ও প্রোটিন যায় ভাল মাত্রায়। সকাল ৯:৪৫ এ তিনি ডিম আর পাউরুটির টোস্ট খান।
দুপুরে তিনি রোস্টেড চিকেনের সঙ্গে অ্যারাবিয়াটা পাস্তা খান। বিকেল ৪টের সময় তিনি কফি খান। ৫:১৫ তে তিনি চিকেন আর টোস্ট খান। সন্ধ্যা ৭টার সময় তিনি এক বাটি স্যুপ খান। সারা দিনে তিন থেকে চার লিটার জল খেতে ভোলেন না অভিনেত্রী।
মা হওয়ার পর পুরনো চেহারায় ফিরতে কতটা ‘লড়াই’ করতে হয়, তা নিয়ে অকপট হয়েছিলেন সোনম। বিশেষ কোনও ডায়েট, জিমে গিয়ে ঘাম না ঝরিয়েও কী ভাবে ওজন কমালেন সে বিষয়ে জানিয়েছিলেন। এক জন মা তাঁর সন্তানের জন্য যতটা পরিশ্রম করেন, তিনিও সেটাই করেছিলেন। সন্তানের যত্ন নেওয়ার ফাঁকেই একেবারে আমূল বদলে যান তিনি। ওজন কমানোর তাগিদ ছিল, কিন্তু তা নিয়ে কোনও খারাপ লাগা ছিল না। কারণ, সোনম বিশ্বাস করেছিলেন, এটি জীবনের একটি অধ্যায়। সেটার জন্য মনের মধ্যের কোনও খারাপ লাগার জন্ম দেননি। শুধু কী ভাবে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া যায়, সেই চেষ্টাই করে গিয়েছেন।