সিনেমার পর্দায় অভিনেতার অ্যাকশন দৃশ্য নজর কাড়ে আলাদা করে। ছবি: সংগৃহীত।
পেশিবহুল, সুঠাম, মেদহীন, স্বাস্থ্যসচেতন— বলিপাড়ার যে অভিনেতাদের এই তকমাগুলি নির্দ্বিধায় দেওয়া যায়, তাতে অন্যতম বিদ্যুৎ জামওয়াল।এ জন্য বলিপাড়ার অন্যতম পরিচিত নাম বিদ্যুৎ জামওয়াল। দর্শক তাঁকে চেনেন অ্যাকশন হিরো হিসাবে। সিনেমার পর্দায় অভিনেতার অ্যাকশন দৃশ্য নজর কাড়ে আলাদা করে। প্রতিটি ছবিতেই ভক্তদের চমকে দেন সাংঘাতিক স্টান্ট দৃশ্যে অভিনয় করে। অভিনেতাদের ফিট থাকাই দস্তুর। ফিটনেসের প্রতি প্রেম ৪২ বছরের বিদ্যুতের শুধু সে জন্য নয়। তিনি আদতে ‘ফিটনেস ফ্রিক’। বলিপাড়ায় তাঁর শরীরচর্চার আর ডায়েটের গল্প মুখে মুখে ঘোরে। বহু অনুরাগীর কাছেও তিনি অনুপ্রেরণা। রীতিমতো সাধনা না করলে এমন চেহারা গড়ে তোলা সম্ভব নয়। অনেকে তাঁর রোজের ফিটনেস আর ডায়েট রুটিন জানতে চান। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নিজেই সে কথা প্রকাশ করেছেন।
বলিপাড়ায় তাঁর শরীরচর্চার আর ডায়েটের গল্প মুখে মুখে ঘোরে। ছবি: সংগৃহীত।
১৪ বছর বয়স থেকেই নিরামিষ খান বিদ্যুৎ। তিনি বিশ্বাস করেন, শরীরের যত্ন নিতে নিরামিষ খাবার খাওয়ার চেয়ে ভাল আর কোনও বিকল্প নেই। কঠোর শরীরচর্চার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর এবং সময় মতো খাওয়াদাওয়ায় জোর দেন অভিনেতা। তাঁর সকাল শুরু হয় দুধ, কলা, ড্রাই ফ্রুটস এবং মুসলি খেয়ে। শুটিং না থাকলে জিমে যান। শরীরচর্চায় ব্যস্ত হয়ে পড়ার আগে খান প্রোটিন শেক আর টোফু। জিম থেকে ফিরে এসে কোনও দিন ইচ্ছা হলে খান দু’টো ইডলি আর বাড়ির তৈরি চাটনি। অভিনেতার দুপুরের খাবারে থাকে হাতেগড়া রুটি, এক বাটি ডাল আর নানা রকম শাকসব্জি দিয়ে তৈরি তরকারি। দক্ষিণী খাবার খেতে পছন্দ করেন বিদ্যুৎ। তাই সন্ধ্যার জলখাবারে থাকে উপমা। রাতের খাবার খেতে দেরি হলে মাঝে ফের প্রোটিন শেকের গ্লাসে চুমুক দেন তিনি। তার পর রাতের খাবার খেতে বসেন। রাতে একেবারেই হালকা খান। একটি রুটি এবং সঙ্গে সব্জি। শুটিং থাকলেও এই নিয়মই মেনে চলেন।