Body Builder Vs. Wrestler.

জাতীয় স্তরের মহিলা কুস্তিগিরের ফাঁদে পড়ে ৫০ লক্ষ টাকা খোয়ালেন বডিবিল্ডার পুলিশকর্তা

পেশায় তিহাড় জেলের অ্যাসিসট্যান্ট সুপারিনটেনডেন্ট দীপক শর্মার নেশা হল বডিবিল্ডিং। সেই আবেগ থেকেই হয়তো শরীর গড়ে তোলার ব্যবসায় বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু পড়ে গেলেন জালিয়াতদের ফাঁদে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

তিহাড় শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৩ ২০:০১
Share:

(বাঁদিকে) পুলিশ আধিকারিক দীনেশ শর্মা এবং (ডানদিকে) কুস্তিগির রৌনক গুলিয়া। ছবি: সংগৃহীত।

অনলাইলে হোক কিংবা অফলাইনে, নিত্য দিন জালিয়াতদের ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারণার শিকার হন হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। হাজার হাজার অভিযোগ এসে জমা হয় থানার বড়বাবুদের কাছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই ধরনের জালিয়াতির কোনও সুরাহা হয় না। সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়, যাতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। কিন্তু এ বার সেই জালিয়াতদের ফাঁদে পড়লেন খোদ পুলিশকর্তা। খাবার সংক্রান্ত ব্যবসায় বিনিয়োগের নাম করে তাঁর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

পেশায় তিহাড় জেলের অ্যাসিসট্যান্ট সুপারিনটেনডেন্ট দীপক শর্মার নেশা হল বডিবিল্ডিং। পেশার পাশাপাশি শরীরের প্রতিটি ভাঁজের জন্য সমাজমাধ্যমেও যথেষ্ট সুনাম রয়েছে তাঁর। সম্প্রতি রিয়ালিটি শো ফেরত এক তারকা মহিলা কুস্তিগির রৌনক গুলিয়া এবং তাঁর স্বামী অঙ্কিত গুলিয়া তাঁর কাছ থেকে ব্যবসার নামে ৫০ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেন বলে অভিযোগ। দীপক জানান, টেলিভিশন চ্যানেলের একটি রিয়ালিটি শোয়ের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় জাতীয় এবং রাজ্যস্তরের চ্যাম্পিয়ন কুস্তিগীর রৌনক গুলিয়ার। সেই আলাপের সুবাদেই ক্রমশ তাঁদের ব্যবসায় বিনিয়োগ নিয়ে কথা হয় তাঁদের। গুলিয়া দম্পতির কথায় বিশ্বাস করে শরীর গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষ খাবার এবং সাপ্লিমেন্টের ব্যবসায় ৫০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন দীপক। বিপুল অঙ্কের লভ্যাংশ পাওয়ার আশায় তিনি সাত-পাঁচ না ভেবেই ওই পরিমাণ মূল্য লগ্নি করেও দেন। কিন্তু তার পর থেকে তিনি আর কোনও টাকাই ফেরত পাননি।

পশ্চিম বিনোদনগরের বাসিন্দা দীপকের অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত গুলিয়া দম্পতির কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি বলেই জানা গিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement