সামনের ব্যক্তি কি মিথ্যে বলছে? বুঝে নিন সহজেই

সামনের ব্যক্তি অম্লান বদনে মিথ্যে বলে যাচ্ছে, কিন্তু আপনি কিছুতেই বুঝতে পারছেন না। চিকনি চুকনি মিথ্যের জ্বালে ফেঁসে গেছেন তত ক্ষণে, সত্যিটা বুঝতে অনেক দেরি হয়ে গেছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৫ ০৯:৩৩
Share:

সামনের ব্যক্তি অম্লান বদনে মিথ্যে বলে যাচ্ছে, কিন্তু আপনি কিছুতেই বুঝতে পারছেন না। চিকনি চুকনি মিথ্যের জ্বালে ফেঁসে গেছেন তত ক্ষণে, সত্যিটা বুঝতে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ঠকার আগে বরং বুঝে নিন কেউ কী ভাবে একের পর এক মিথ্যে বলে যাচ্ছে। একটু মন দিয়ে খেয়াল রাখুন সামনের ব্যক্তির বডি ল্যাঙগুয়েজ, মুখভঙ্গি। তাহলেই কেল্লা ফতে। সহজে আর কেউ তাহলে মিথ্যের জ্বালে আপনাকে ফাঁসাতেই পারবে না।

Advertisement

মিথ্যেবাদী চিনে নেওয়ার সহজ কয়েকটা উপায়-

Advertisement

১) যারা মিথ্যে কথা বলে খুব সহজ প্রশ্নের উত্তরেও তারা অতিরিক্ত মাথা ঝাঁকায়। সরাসরি চোখের দিকে না তাকিয়ে খানিকটা তেরচা ভাবে প্রশ্নের উত্তর দেয়।

২) মিথ্যে কথা বলার সময় সাধারণত জোরে জোরে নিঃশ্বাস নেওয়ার একটা প্রবণতা দেখা যায়। হঠাত্ করেই বেড়ে যায় কাঁধ ঝাকানো। কণ্ঠস্বর অগভীর হয়ে ওঠে। আসলে মিথ্যা বলার সময় নার্ভাস হয়ে যায় মিথ্যুক। পরিবর্তন হয় তাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন ও হৃদস্পন্দনে। যার প্রভাব পরে তাদের বাহ্যিক অভিব্যক্তিতে।

৩) মিথ্যে বলার সময় সাধারণত মানুষ মনে মনে ভয় পায়, সব সময় মনে হয় এই বুঝি ধরা পরে গেল, ফলে অনেক ক্ষেত্রে বাহ্যিক ভাবেই অনেক বেশি রিজিড হয়ে যায়। সব সময় চেষ্টা করে কথাটা কোনও রকমে বলেই সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার।

৪) নিজের মিথ্যেটাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একই কথা বারবার বলে। বলেই যায় ‘আমি এটা করিনি’।

৫) প্রয়োজনের তুলনায় যখনই কেউ কারোও সম্পর্কে অতিরিক্ত ইনফরমেশন দেওয়ার চেষ্টা করে, তাতে কোনও না কোনও মিথ্যে লুকিয়েই থাকে।

৬) মিথ্যে বলার সময় কোনও ব্যক্তি সচরাচর তার ঠোঁটে হাত দেয়।

৭) মিথ্যে বলার সময় সাধারণত জিভ, ঠোঁট শুকিয়ে আসে। অনেক বার ঢোক গিলতে হয়। ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার ফলে বার বার জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটতে হয়।

৮) মিথ্যেবাদীরা আই কনট্যাক্ট এড়িয়ে চলে। তাদের চোখের পাতা ঘনঘন পড়ে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement