অসুখ রুখতে ভরসা রাখুন খাবার পাতে। ছবি: আইস্টক।
ওজন ঝরাতে বাতের সঙ্গে আড়ি করেছে আধুনিক প্রজন্ম। অনেকে আবার ডায়াবিটিসের মাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভাতের জন্য বরাদ্দ করেছেন অল্প একটু জায়গা। শরীর কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেই ভাতের সঙ্গে বাঙালিও এমন দূরত্ব বজায় রেখে চলার স্বভাব তৈরি হয়েছে। যদিও পুষ্টিবিদদের মতে, যেহেতু এশিয়ার বাসিন্দারা হাজার হাজার বছর ধরে ভাত খেতে অভ্যস্ত, তাই তা থেকে একেবারে মুখ ফিরিয়ে থাকাটাও বোকামি।
কিন্তু তা হলে অসুখবিসুখের ভয়? পুষ্টিবিদ ইন্দ্রানী সেনগুপ্তের মতে, ‘‘ভাত বাদ দেওয়ার যে চল আজকাল শুরু করেছে, তার বদলে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় কালো চাল খেলে হার্টের রোগ আর ক্যানসার ঠেকিয়ে রাখার পথে অনেকটা এগিয়ে থাকা সম্ভব। কালো চালে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। তাই ইদানীং ডায়াবিটিস রোগীদেরও নিশ্চিন্তে এই চাল নিয়ন্ত্রিত মাপে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।’’
আর এক পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহের মতে, কালো চালে ক্যালোরির পরিমাণ যেমন কম থাকে তেমনই মেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন। ফ্ল্যাভনয়েড ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের কারণে নানা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও মেলে এই কালো চাল থেকে। এর মধ্যে ফাইবার যতটা আছে, সাদা বা লাল চালের তুলনায় তা অনেকটাই বেশি। কালো চাল অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রা কমায়। লিভার ও হার্টকে সুস্থ রাখতে পারে। এতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন যে কোনও ফ্রি রাডিক্যালের মারণ বৃদ্ধি রুখে শরীরকে সুস্থ রাখে। গ্লুটেনমুক্ত হওয়ায় বাড়তি মেদ জমার ভয়ও একেবারেই থাকে না।
আরও পড়ুন: বুকে ব্যথা হলেই জিভের তলায় জীবনদায়ী ওষুধ! না জেনেই হার্টের ক্ষতি করছেন কিন্তু
বসন্তে হানা দিতে পারে নানা সংক্রামক অসুখ, রুখে দিন এ সব উপায়ে
কিন্তু এমন কালো চাল রান্না করতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। যেমন:
কালো চালের ভাত রান্না হতে আধ ঘণ্টা মতো সময় লাগে, তাই আগের রাত থেকে ভিজিয়ে রাখুন চাল। তা হলে সময় অনেক কম লাগবে। এই কালো চাল দিয়ে পায়েস বানিয়েও খেলেও একই পুষ্টিগুণ পাবেন। কালো চালে বানানো পায়েসের রং বেগুনি হয়। এই চাল রান্নার সময়, চালের পরিমাণের দ্বিগুণ জল দিন। ফ্যান ঝরিয়ে ঝুরো ভাত খেতে চাইলে জল দিতে হবে আরও বেশি।