দুশ্চিন্তা কমে: যাঁরা তাড়াতাড়ি ঘুমোন তাঁদের তুলনায় যাঁরা দেরিতে ঘুমোতে যান তাঁরা নেতিবাচক চিন্তায় বেশি আচ্ছন্ন থাকেন বলে দাবি এক দল গবেষকের। অর্থাৎ ভাল ঘুম হলে অনেকটা ফুরফুরে থাকা যায়। দুশ্চিন্তা কম হয়।
ভাল ব্যবহার: কম ঘুম হওয়ার কারণে মেজাজ খাপ্পা হয়ে থাকে। বিভিন্ন রকম মানসিক সমস্যা দেখা যায়। ভাল ভাবে বিশ্রাম নিলে আপনি অনেক বেশি ইতিবাচক, ধৈর্যশীল এবং আরাম অনুভব করবেন। ফলে সবার সঙ্গে ভাল ব্যবহার করাটা সহজ হয়।
সজাগ থাকা যায়: তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ার ফলে, নিশ্চিন্ত হওয়া যায়। এবং অনেক বেশি সতর্ক থাকা যায়। আমেরিকার ট্রিপল এ ফাউন্ডেশনের রিপোর্ট অনুযায়ী যাঁরা ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুমোন তাঁদের গাড়ি দুর্ঘটনার হার যাঁরা ৮ ঘণ্টা ঘুমোন তাঁদের তুলনায় দ্বিগুণ।
স্বাস্থ্যকর ওজন ধরে রাখা যায়: গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, কম ঘুম হলে ওজন বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত কম ঘুম হলে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে মন চায় না।
সিজন চেঞ্জের ফ্লু এড়ানো যায়: চিকিত্সকদের মতে, ফ্লু এড়ানোর অন্যকম উপায় হচ্ছে হাত ধোয়া এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো।
ভাল দেখায়: সুইডেনের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব একজন মানুষের চেহারায় প্রভাব ফেলে। ঘুমের অভাবে চোখ লাল হয়ে যায়, চোখের নীচে কালি পড়ে এবং চোখ ফুলে যায়। সে কারণে তাড়া়তাড়ি ঘুমিয়ে পড়লে আপনার চেহারায় তার প্রভাব পড়তে বাধ্য।
রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে: হৃদরোগ, কিডনি রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং স্ট্রোক এর মত মারাত্মক অসুখ হওয়ার ঝুঁকি কমাতে চান? তা হলে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ও ব্যায়াম করার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুমানো প্রয়োজন।
দিনে ঘুমানোর প্রয়োজন কম হয়: রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমিয়ে নিলে, দিনের বেলা শারীরিক ভাবে ক্লান্তি অনুভব হয় না। আর তার জেরে দিনের বেলা ঘুমের প্রয়োজন সেভাবে পড়ে না।