বেলের পানা খেলে ত্বকের জেল্লা বাড়বে? ছবি: সংগৃহীত।
শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখতে শুধু জল খেলে হবে না। সঙ্গে খেতে হবে এমন কিছু পানীয় যা জলের ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি, ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যাওয়া খনিজের অভাবও পূরণ করে। গরমে তাই বেলের পানার চাহিদা থাকে তুঙ্গে। গরমকালে শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য অনেক বাড়িতেই বেলের পানা খাওয়ার চল রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটফাঁপা, হজমের গোলমাল সারাতেও এই পানীয় বেশ কাজের। তবে, পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই গরমে ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে বেলের পানা বা শরবতের জুড়ি মেলা ভার।
বেলের মধ্যে এমন কী আছে যা ত্বকের জন্য উপকারী?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই ফলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই দু’টি উপাদান নিঃসন্দেহে ত্বকের জন্য উপকারী। এ ছাড়া অনেকেই বলেন, ত্বকের নিজস্ব প্রোটিন অর্থাৎ কোলাজেন তৈরিতেও সাহায্য করে বেল। বেলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যা স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বিশেষ ভাবে প্রয়োজনীয়। এ ছাড়াও অন্ত্র ভাল রাখতে এবং শরীর থেকে ‘টক্সিন’ বার করতে সাহায্য করে বেলের মধ্যে থাকা সহজপাচ্য ফাইবার।
দশ মিনিটে বেলের শরবত তৈরি করবেন কী ভাবে?
উপকরণ:
বেল: ১টি
জল: ৫ কাপ
নুন: এক চিমটে
চিনি: ৪ টেবিল চামচ
পুদিনা পাতা: এক মুঠো
বরফের টুকরো: ৩-৪টি
ছবি: সংগৃহীত।
পদ্ধতি:
প্রথম ধাপ: প্রথমে বেল ভেঙে তার ভিতর থেকে শাঁস বার করে একটি পাত্রে রাখুন।
দ্বিতীয় ধাপ: এ বার শাঁস হাত দিয়ে ভাল করে চটকে নিন। ভিতর থেকে বেলের বীজ বার করে নিন।
তৃতীয় ধাপ: ছাঁকনির সাহায্যে বেলের ক্বাথ ভাল করে ছেঁকে নিন।
চতুর্থ ধাপ: এ বার বেলের ক্বাথের সঙ্গে চিনি এবং সামান্য নুন মিশিয়ে নিন। যত ক্ষণ না চিনি গলে যায় তত ক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
পঞ্চম ধাপ: নুন-চিনি গলে গেলে বেলের ক্বাথের সঙ্গে ধীরে ধীরে জল মিশিয়ে নিতে হবে। ঘনত্ব কেমন রাখতে চান, সেই বুঝে জল মেশাবেন।
ষষ্ঠ ধাপ: এ বার কাচের গ্লাসে কয়েক টুকরো বরফ এবং পুদিনা পাতার কুচি দিয়ে তার মধ্যে শরবত ঢেলে নিন। ঠান্ডা ঠান্ডা শবরত পরিবেশন করুন।