মুখের মেদ ঝরাতে গিয়ে কালঘাম ছুটে যায়। ছবি: সংগৃহীত।
অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, অনিয়মিত জীবনযাপনের প্রভাবে যে সব অসুখের প্রাধান্য দেখা যায়, তাদের মধ্যে মেদবৃদ্ধি বা ওবেসিটি অন্যতম। তবে নিয়ম মেনে ডায়েট ও শরীরচর্চায় সারা শরীরের মেদ অনেকটা ঝরিয়ে ফেলতে পারলেও মুখের মেদ ঝরাতে গিয়ে কালঘাম ছুটে যায়। থাইরয়েড জাতীয় অসুখ থাকলে ‘ডাবল চিন’ বা থুতনির নীচে মেদ জমে বেশি।
শরীরের অন্য অংশের মেদ কমাতে যে সব কৌশল কাজে আসে, তার সবগুলি মুখমণ্ডলের মেদ কমাতে সাহায্য করে না। বরং মুখের জন্য আলাদা করে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। গালের ভারী অংশের মেদ ঝরাতে কোন কোন উপায় মেনে চলবেন, রইল তার হদিস।
এমন কিছু ব্যায়াম আছে যে ব্যায়ামগুলিতে মুখের মেদ ঝরবে অনেকটাই। ছবি: সংগৃহীত।
১) মুখের ব্যায়াম: মুখের জন্য কিছু বিশেষ ব্যায়াম আছে। মুখের মেদ ঝরাতে ও পেশির জোর বাড়াতে এই সব ব্যায়ামে অভ্যস্ত হতে হয়। চুইংগাম চিবোনোর মতো ভঙ্গি, জিভ বার করে ২০ সেকেন্ড রেখে দেওয়া— এমন অনেক সহজ ব্যায়াম রয়েছে। এই ব্যায়ামগুলিতে মুখের মেদ ঝরবে অনেকটাই।
২) অ্যালকোহলের মাত্রা: মুখের মেদ কমাতে অ্যালকোহলের মাত্রায় রাশ টানুন। মদ যেমন ভুঁড়ি বাড়ায়, তেমনই মুখমণ্ডলের মেদও বাড়ে এর কারণে।
খাবার: মুখের মেদ ঝরাতে চিনি, সোডা, ময়দার পাউরুটি, ভাত, ময়দাজাত নানা খাবার— এ সবে রাশ টানুন। নরম পানীয়, প্যাকেটজাত ঠান্ডা ফলের রস, চকোলেট, আইসক্রিমও মেদ বাড়ায়। তাই এড়িয়ে চলুন এ সব খাবার।
সোডিয়ামের মাত্রা: শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে অতিরিক্ত জল জমে ও মুখমণ্ডলও ফুলে যায়। বেশির ভাগ প্যাকেটজাত খাবারেই অতিরিক্ত নুন থাকে। তাই শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বজায় রাখতে এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন। খাওয়ার পাতে কাঁচা নুন খাওয়া বন্ধ করুন।
কার্ডিয়ো: মেদ ঝরাতে যেটুকু শরীরচর্চা করছেন, তার সঙ্গেই যোগ করুন কার্ডিয়ো অ্যারোবিক্স। শরীরের উপরিভাগের মেদ ঝরাবে, এমন অ্যারোবিক্সেই দ্রুত ঝরে মুখমণ্ডলের অতিরিক্ত মেদ।