ছবি: সংগৃহীত।
মরসুম বদলের সময়টা ভারি অদ্ভুত। পাখা চললে ঠান্ডা লাগে, আবার বন্ধ করলে ঘাম হয়। স্নান করার পর ত্বকে টান ধরে। অথচ, বাইরে বেরোনোর কিছু ক্ষণ পর মুখটা তেলতেলে হয়ে যায়। শীত আসার আগে ঠিক এই সময় থেকেই কিন্তু ত্বকের বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
এ ক্ষেত্রে শুধু ফেসওয়াশ কিংবা মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করা যথেষ্ট নয়। অভিজ্ঞেরা বলছেন, যত ভাল প্রসাধনীই ব্যবহার করুন না কেন, ত্বকের গভীর স্তর থেকে তেল, ধুলোময়লা ভাল করে পরিষ্কার করতে না পারলে কোনও লাভ হবে না। এ ক্ষেত্রে বিশেষ উপকারী হল ‘ডবল ক্লিনজ়িং’ পদ্ধতি।
ডবল ক্লিনজ়িং’ কী?
দু’বার বা দু’টি ধাপে দুই রকম জিনিস ব্যবহার করে ত্বক পরিষ্কার করার পদ্ধতিই হল ‘ডবল ক্লিনজ়িং’। প্রথমে তেল দিয়ে মুখের যাবতীয় ধুলোময়লা বা মেকআপের পরত তুলে ফেলতে হয়। তার পর মাইল্ড কোনও ফেসওয়াশ বা ক্লিনজ়ার দিয়ে মুখের অতিরিক্ত তেল তুলে ফেলতে হয়। ফলে ত্বক একেবারে শুষ্ক হয়ে যায় না।
‘ডবল ক্লিনজ়িং’ পদ্ধতিতে মুখ পরিষ্কার করবেন কেন?
১) ফেসওয়াশ বা সাবান ত্বকের গভীরে গিয়ে সেখান থেকে ময়লা টেনে বার করে আনতে পারে না। তাই ত্বকের বিভিন্ন স্তরে জমা ধুলোময়লা পরিষ্কার করতে এই পদ্ধতি বেশ কার্যকরী।
২) মেকআপ করার সময়ে যেমন একের পর এক পরত মুখে মাখতে হয়, তেমন তোলার সময়েও প্রতিটি স্তর থেকে মেকআপ প্রসাধনী উঠছে কি না, তা খেয়াল রাখা জরুরি। ত্বকের বিভিন্ন স্তর থেকে মেকআপ তুলতে ‘ডবল ক্লিনজ়িং’ পদ্ধতি পরখ করে দেখা যেতেই পারে।
৩) গভীর থেকে পরিষ্কার করার পর ত্বকের জেল্লাও ফিরে আসে। বাইরে থেকে মুখ চকচকে করে তোলার জন্য নানা রকম প্রসাধনী পাওয়া যায়। তবে কিছু দিন ‘ডবল ক্লিনজ়িং’ করার পরই তফাত নজরে পড়বে।