ঘাম আর রূপটান একসঙ্গে মিশে গিয়ে ত্বকের প্রতিটি কোষে ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রতীকী ছবি।
রূপটান করে জিমে যাওয়ার অভ্যাসে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে জানাচ্ছেন চর্মরোগ চিকিৎসকরা। অনেক মহিলাই আছেন, যাঁরা অফিস থেকে সোজা জিমে যান কিংবা অফিসে যাওয়ার আগে জিম ঘুরে আসেন। জিম করার সময়ে ত্বকে প্রসাধনীর প্রলেপ নানা সমস্যা ডেকে আনতে পারে। জিমে শরীরচর্চা মানেই দরদর করে ঘাম হওয়া। এই ঘাম আর রূপটান একসঙ্গে মিশে গিয়ে ত্বকের প্রতিটি কোষে ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ত্বকের কোষমুখ বন্ধ হয়ে এলে ব্রণ, র্যাশের মতো ভোগান্তির আবির্ভাব হয়। রূপটান করা অবস্থায় শরীরচর্চা করলে ত্বকের কী কী সমস্যা হতে পারে?
১) শরীরচর্চার সময়ে ঘাম ঝরবে, সেটাই স্বাভাবিক। এই কারণে শরীরচর্চার সময়ে ত্বক পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। ত্বকে কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করে শরীরচর্চা করলে সমস্যা হতে পারে। ঘামের সঙ্গে রূপটান মিশে গিয়ে ত্বকের প্রতিটি কোষ বন্ধ করে দেয়। ছিদ্রমুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে ত্বকের কোষে জমে থাকা ময়লা বাইরে বেরোতে পারে না। সেগুলি জমেই ব্ল্যাকহেডস, ব্রণর মতো সমস্যা দেখা দেয়। জিমের আগে কনসিলার, বিবি ক্রিম, ফাউন্ডেশনের মতো প্রসাধনী দূরে থাকাই ভাল।
জিম করার সময় ত্বক যেন একেবারে পরিষ্কার থাকে। প্রতীকী ছবি।
২) শরীরচর্চার সময়ে শরীর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘর্মগ্রন্থিগুলি আরও ঘাম উৎপাদন করে। এই ঘর্মাক্ত পরিস্থিতিতে ত্বকের রূপটান কিন্তু সমস্যা ডেকে আনতে পারে। নিয়মিত এমন চলতে থাকলে ত্বকে বিভিন্ন দাগছোপ তৈরি হতে পারে। চর্মরোগ চিকিৎসকদের মতে, জিম করার সময় ত্বক যেন একেবারে পরিষ্কার থাকে। রূপটান তো দূরের কথা, ত্বকে যাতে কোনও ময়লা না থাকে, সে কারণে জিমে যাওয়ার আগে ক্লিনজ়ার, টোনার দিয়ে ভাল করে ত্বক পরিষ্কার করে নেওয়া ভাল। ঝুঁকি নিয়ে লাভ নেই।
৩) অনেকেরই কিছু রোমকূপ উন্মুক্ত থাকে। ত্বকের এই উন্মুক্ত ছিদ্রগুলি খুব বিপজ্জনক। এই ছিদ্রগুলি সব সময় পরিষ্কার রাখার কথা বলেন চিকিৎসকরা। নয়তো বিভিন্ন ময়লা সেখানে জমে ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি করে। তবে রূপটানে ব্যবহৃত প্রসাধনীগুলি সেখানে জমা হয়ে ব্যাকটেরিয়াগুলিকে বাইরে বেরোতে দেয় না। দীর্ঘ দিন ধরে স্তরে স্তরে সেই ব্যাকটেরিয়া জমা হয়ে ত্বকের মারাত্মক কোনও সমস্যার সৃষ্টি করে।