পুরনো বেনারসির নতুন ব্যবহার। ছবি: সংগৃহীত।
মায়ের বিয়ের বেনারসি হোক কিংবা দামি কোনও সিল্কের শাড়ি, পুরনো দিনের সেই নকশা পছন্দ হলেও শাড়িগুলি আর পরার অবস্থায় নেই? আলমারিতে দামি দামি অনেক শাড়ি থাকে যা আপনার প্রাণের চেয়েও প্রিয়। অথচ বেশ পুরনো হওয়ার কারণে কোথাও কোথাও ফেঁসে গিয়েছে। প্রাণের চেয়েও প্রিয় সেই শাড়িগুলি ফেলে দিতেও ইচ্ছে করে না। একটু বুদ্ধি খাটিয়ে সেই শাড়িগুলিই আবার নতুন রূপে ব্যবহার করতে পারেন। কী ভাবে ব্যবহার করবেন সেই সব শাড়ি, তা ভাবতে হবে কাপড়ের অবস্থা বুঝে। যদি বেশি দিনের পুরনো না হয়, তবে সেই সিল্কের পুরোটাই ব্যবহার করা যাবে। শাড়ির অবস্থা বুঝে করতে হবে পরিকল্পনা।
জ্যাকেট: জ্যাকেট বানাতে বেশ খানিকটা কাপড় প্রয়োজন। কম কাপড় থাকলে হাত কাটা, আর বেশি হলে লম্বা হাতার বেনারসি জ্যাকেট কিংবা সিল্কের জ্যাকেট বানিয়ে নিতে পারেন। একরঙা কুর্তার সঙ্গে পরলে সাজ হবে বেশ সুন্দর। শাড়ির সঙ্গেও সুন্দর করে স্টাইল করতে পারেন এই ধরনের জ্যাকেট।
ওড়না: সাধারণ একটি শালোয়ার কামি়জ বা আনারকলির সঙ্গে জমকালো একটি বেনারসি ওড়না নিয়ে নিলে সাজে আসে চমক! শাড়ি কেটে ওড়না বানানো একটুও কঠিন কাজ নয়। ওড়নার মাপে শাড়িটি কেটে নিয়ে ধার বরাবর লটকন লাগিয়ে নিতে পারেন। অনেক সময় শাড়ি এতটাই ফেঁসে যায় যে আর ব্যবহারের যোগ্য থাকে না। সে ক্ষেত্রে কেবল শাড়ির পাড় কেটে সাধারণ একটি এক রঙা ওড়নায় সেটি বসিয়ে নিতে পারেন।
ক্রপ টপ: যদি শাড়ির বেশিটাই খারাপ হয়ে গিয়ে থাকে, তবু চিন্তার কিছু নেই। একটা ছোট্ট ক্রপ টপ তো হয়েই যাবে। বেনারসি ক্রপ টপ থাকলে নানা ভাবে তা স্টাইল করতে পারেন। যে কোনও ধরনের সিল্ক কিংবা শিফনের শাড়ি পরে ফেলা যায় তা দিয়ে। আর স্কার্ট কিংবা পালাজোর সঙ্গেও সেটি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরলে সাজে আসতে পারে নতুনত্ব। আর শাড়ির অবস্থা ভাল থাকলে শাড়ি কেটে একটা ড্রেসও বানিয়ে ফেলতে পারেন।
এ সব গেল পোশাকের ভাবনা। এ ছাড়াও বেনারসি শাড়ি কেটে ঘর সাজানোর নানা উপকরণও বানিয়ে নেওয়া যায়। টেবিলের ঢাকা থেকে পর্দা, কুশনের কভার থেকে ওয়াল হ্যাঙ্গিং— সবেতেই বেনারসি কিংবা সিল্ক শাড়ির কিছুটা অংশ ব্যবহার করতে পারেন।