আপনার ত্বক কি অতিরিক্ত শুষ্ক? ছবি- সংগৃহীত
শীতকালে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা যে বেড়ে যায়, সে কথা অনেকেই জানেন। বয়স্কদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি করে দেখা যায়। কারণ, যাঁদের ডায়াবিটিস আছে, এই সময় তাঁদের সমস্যা আরও গুরুতর হয়। দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিস, থাইরয়েডের মতো রোগ থাকলে ত্বক মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার উপর শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক থেকে জলের ভাগ অনেকটাই কমে যায়। ঠান্ডায় জল খাওয়ার পরিমাণও অনেকটাই কমে যায়। ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁদের ত্বকে এগজ়িমা, র্যাশ বা অ্যালার্জির সমস্যা আছে, তাঁদের অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়।
কী কী করলে এই শীতে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারে?
১) ক্লিনজার
সারা বছর ত্বকে যেমন যত্ন নিয়ে থাকেন, এই সময়ে তার চেয়ে একটু বেশিই যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। হালকা ফেসওয়াশও কোনও কোনও ত্বকের ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক। যে সব সাবান বা ফেসওয়াশে বেশি ফেনা হয়, সেই সব প্রসাধনী এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
২) ময়েশ্চারাইজার
ভাল মানের ময়েশ্চারাইজার এই সময়ে ত্বকের যত্নে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। যাদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তারা বডি লোশনের পরিবর্তে ক্রিম ব্যবহার করুন। ত্বকের শুষ্কতা বজায় রাখতে নারকেল তেল, অ্যাভোকাডো অয়েল এবং তিলের তেল খুবই উপকারী। স্নানের পর পরই গায়ে জল থাকা অবস্থাতেই তেল মেখে ফেলতে পারলে আর্দ্রতা বজায় থাকে অনেকটাই।
৩) গরম জলের ব্যবহার কম
গরম জলে স্নান করে আরাম লাগলেও শীতকালে কিন্তু গরম জল ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। বিশেষজ্ঞদের মতে, গরম জল ত্বকের উপরিভাগে থাকা প্রাকৃতিক তেলের স্তর নষ্ট করে।
৪) সাবান ব্যবহার কম
শীতকালেও ত্বকে তরল সাবান মাখতে হবে, কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে তা যেন অতিরিক্ত সাবানের ব্যবহার না করা হয়।
৫) ফাটা অংশের যত্ন
শীতকালে হাত, পা, ঠোঁট ফাটার মতো সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এই ক্ষেত্রে পেট্রোলিয়াম জেলি অব্যর্থ।
৬) রোদ থেকে বাঁচুন
শীতকালের মিঠে রোদ গায়ে মাখতে ভালই লাগে। কিন্তু খেয়াল রাখবেন, এই রোদ থেকে কোনও ভাবেই যেন ট্যান না হয়। শীতের রোদে যে ট্যান পড়ে, তা দূর করা কিন্তু যথেষ্ট সময়সাধ্য।
৭) ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি তৈরি হবে বলে, সূর্যের আলোয় বসে থাকলেই হবে না। কারণ, রোদ লাগলেও সকলের শরীরে এক রকম ভিটামিন ডি তৈরি হয় না। তাই হাড় মজবুত হওয়ার জন্য ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খাওয়ারও প্রয়োজন আছে।