ঘরোয়া উপায়ও কিন্তু রং করতে পারেন চুলে। ছবি: সংগৃহীত।
চুলের সাজ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন অনেকেই। ইচ্ছেমতো চুলের ছাঁট তো আছেই। সেই সঙ্গে চুলে রং করার চলও ক্রমশ বাড়ছে। জমকালো পার্টিতে কিংবা ঘরোয়া অনুষ্ঠানে— চুলের রং আলাদা করে নজর কাড়তে সাহায্য করে। তবে অনেকেই আছেন, যাঁরা পার্লারের স্থায়ী হাইলাইটের রং পছন্দ করেন না। তা ছাড়া পার্লারে ব্যবহৃত রাসায়নিক চুলের ক্ষতিও করে। তাই ইচ্ছে থাকলেও হাইলাইটের শখ আর পূরণ হয় না। পার্লারে যে রং ব্যবহার করা হয়, তাতে ব্লিচ মেশানো থাকে। এই ব্লিচ আপনার চুলের গোড়াকে আলগা করে দেয়। ফলে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই রাসায়নিকের ব্যবহার চুলের জন্য মোটেও ভাল নয়। তবে চুলে রং করার জন্য যে শুধু পার্লারের উপরে নির্ভর করে থাকতে হবে না। ঘরোয়া উপায়ও কিন্তু রং করতে পারেন চুলে। রইল তেমন কয়েকটি টোটকার হদিস।
ঘরোয়া উপায়ে চুল মসৃণ করতে চায়ের লিকারের তুলনা নেই। ছবি: সংগৃহীত।
চায়ের লিকার
ঘরোয়া উপায়ে চুল মসৃণ করতে চায়ের লিকারের তুলনা নেই। কিন্তু চুল হাইলাইট করার ক্ষমতাও রয়েছে এর। তবে যে কোনও রকম চা নয়, চুল রং করতে ক্যামোমাইল টি ব্যাগ কিনে আনুন। গরম জলে টি ব্যাগটি রাখুন, তা রং ছাড়তে শুরু করলে ভাল করে গুলে নিন। চুলের গোছা আলাদা আলাদা করে ভাগ করে তাতে লাগিয়ে নিন এই মিশ্রণ। রোদে বসুন কিছু ক্ষণ। চুলে হালকা লালচে আভা পেয়ে যাবেন সহজেই।
কন্ডিশনার আর দারচিনি
এই দুইয়ের মিশ্রণ চুলে দারুণ একটা রং আনবে। কয়েকটি দারচিনি মিক্সারে গুঁড়িয়ে নিন। তার পর কন্ডিশনারের সঙ্গে মেশান। এ বার ব্রাশ দিয়ে খানিকটা চুলের গোছা নিয়ে গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভাল করে লাগিয়ে নিন এই প্যাক। চুলের সেই অংশটি অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে গুটিয়ে রাখুন। একই ভাবে যেটা হাইলাইট করতে চান, করে ফেলুন। চুলে খোঁপা বেঁধে শাওয়ার ক্যাপে ঢেকে শুয়ে পড়ুন। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে ফেললেই চুলে আসবে মনের মতো রং।
ভিনিগার ও মধুর মিশ্রণ
চুলকে রাসায়নিক মুক্ত উপায়ে হাইলাইট করতে এই মিশ্রণটির উপর ভরসা রাখতে পারেন। ১ কাপ মধু, ১ টেবিল চামচ এলাচ গুঁড়ো, ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েলে মিশিয়ে নিন ২ কাপ ভিনিগার। মিশ্রণটি ঘন করে বানান। এই প্যাক বানিয়ে রেখে দিন ৩ ঘণ্টা। এ বার আলাদা করে বেছে নিন কোন কোন চুলগুলিকে হাইলাইট করতে চাইছেন। কেবলমাত্র সেই অংশেই প্যাকটি লাগান। সারা রাত এই ভাবে রেখে সকালে শ্যাম্পু করে নিলেই মিলবে পছন্দের রং।