নামী সংস্থা, কিন্তু জুতো কি আসল? ছবি: সংগৃহীত।
শহরের বিভিন্ন দোকান ঘুরে, দেখে, বেছে জিনিস কেনার সময় হয় না। তাই এখন প্রায় সকলেরই নজর অনলাইন ই-কমার্স সাইটগুলির দিকে। পোশাক থেকে শুরু করে ঘর সাজানোর জিনিস, সবই পাওয়া যায় সেখানে। শুধু চৈত্র কিংবা বৈশাখ নয়, সারা বছর জুড়ে বিভিন্ন সময়ে জিনিসপত্রের উপর ছাড় দেওয়া হয় সাইটগুলিতে। দেশি জিনিস তো বটেই, বিদেশি অনেক জিনিসও এখানে সস্তায় পাওয়া যায়।
অনেকেই এই ধরনের সাইট থেকে অনলাইনে নামী সংস্থার জুতো কেনেন। দোকানের চেয়ে সস্তায় পাওয়া গেলে তার চেয়ে ভাল আর কী হতে পারে? তাই নিশ্চিন্তে অর্ডারও করে ফেলেন অনেকে। কিন্তু হাতে পাওয়ার পর দেখা যায়, তা আসল নয়। ওই সংস্থার লোগো, জুতোর নকশা নকল করে বানানো খুব সাধারণ মানের জিনিস। তবে এই সব বিষয়ে যাঁরা অভিজ্ঞ, তাঁদের চোখকে ফাঁকি দেওয়া মুশকিল। কয়েকটি বিষয় খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন, জুতোজোড়া আসল না নকল।
ছবি: সংগৃহীত।
১) সেলাই:
নামী সংস্থার জুতোর সেলাই একেবারে নিখুঁত হয়। জুতো নকল হলে সেই সেলাইয়ের বাঁধন আলগা হয়। তা দেখলেই বোঝা যায়। অনলাইনে কেনার সময়ে তা হয়তো বোঝা যাবে না। কিন্তু হাতে পাওয়ার পর যদি তেমন কিছু দেখেন, সে ক্ষেত্রে পাল্টে নেওয়ার সুযোগ তো রয়েছেই।
২) সিরিয়াল নম্বর:
জুতো হাতে পাওয়ার পরেই তার সঙ্গে লাগানো ট্যাগে সিরিয়াল নম্বর দেখে নিন। নামী সংস্থার জুতোর দু’টি পাটিতে সাধারণত আলাদা দু’টি নম্বর থাকে। জুতো যদি নকল হয়, সিরিয়াল নম্বরও এক হবে।
৩) হিল স্ট্যাম্প:
নামী সংস্থার জুতোর গোড়ালির দিকে তাদের লোগো খোদাই করা থাকে। অনলাইনে কেনা জুতো হাতে পাওয়ার পরেই দেখে নিন, সেটি আছে কি না।