প্রতীকী ছবি।
গরমকালে যে শুধু পেটের গোলমাল, ক্লান্তি, অস্বস্তি হয়, তা কিন্তু নয়। গ্রীষ্মকালে ত্বক নিয়েও ভোগান্তি কম হয় না। কারও সারা শরীরে র্যাশ বেরিয়েছে, কেউ আবার মুখ ভর্তি ব্রণ নিয়ে নাজেহাল। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বক হলে আরও মুশকিল। সারা বছর কোনও ভাবে র্যাশ, ব্রণর হাত থেকে নিস্তার পাওয়া গেলেও, গরমকালে কোনও মুক্তি নেই। চড়া রোদে বেরোনোর দরকার পড়ছে না, বাড়ি বসেই নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
কাজের প্রয়োজনে বাইরে বেরোতে হচ্ছে অনেককেই। ফলে র্যাশ, সংক্রমণের আশঙ্কাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে তো চলে না। সুরক্ষিত থাকতে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। তাতে গরমে ভাল থাকবে ত্বক।
সিন্থেটিক পোশাক এড়িয়ে চলুন
গরমে সিন্থেটিক, জর্জেট কিংবা নেটের কোনও পোশাক একেবারেই এড়িয়ে চলুন। বরং গরমে স্বস্তি পেতে ভরসা রাখুন সুতির পোশাকে। রোজ অফিস যাওয়া-আসার সময়ে তো বটেই, এমনকি বাড়িতে থাকলেও পরনে যেন সুতির পোশাক থাকে।
সানস্ক্রিন মাখুন
শুধু গরমকাল বলে নয়, সানস্ক্রিন সারা বছরই ব্যবহার করা উচিত। তবে গরমকালে ত্বকের যত্নে সানস্ক্রিন মাখার দিকে বেশি নজর দেওয়া জরুরি। বাইরে বেরোনোর আগে তো বটেই, এমনকি বাড়িতে থাকলেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকে ট্যান পড়বে না।
বাড়ি ফিরে স্নান
বাইরে থেকে ফিরে স্নান করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। সারা দিনের ক্লান্তি, ধুলোবালি নিমেষে দূর হয়ে যাবে শরীর থেকে। তা ছাড়া, অনেকেই গণপরিবহণে বাড়ি ফেরেন। ফলে বাড়ি ঢুকে স্নান করে নেওয়াই সবচেয়ে ভাল। র্যাশ, চুলকানির মতো সমস্যা হবে না।
রোদ কমলে বাইরে যাওয়া
গরমের শুরুতেই চিকিৎসকেরা রোদে বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। সকলের পক্ষে এই পরামর্শ মেনে চলা সম্ভব নয়। কারণ, অফিস কিংবা অন্য কাজে অনেককে নিয়মিত বাইরে বেরোতেই হয়। সে ক্ষেত্রে ছাতা, রোদচশমা ব্যবহার করা জরুরি। তবে যদি সুযোগ থাকে, সে ক্ষেত্রে রোদ কমলে বাইরের কাজ মেটানোই ভাল।