রাতে কী ভাবে ত্বকের পরিচর্যা করবেন? ছবি: সংগৃহীত।
ভ্যাপসা গরম। বাইরে বেরোলেই দরদর করে ঘাম হচ্ছে। কিন্তু তা-ও ঠাকুর দেখার উত্তেজনায় ভাটা পড়েনি। রোদ-গরম সহ্য করেই দিনভর প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘোরাঘুরি চলছে। সারা দিনের যা ঝক্কি যাচ্ছে যাক, কিন্তু রাতে ঠিকমতো ত্বকের পরিচর্যা করছেন তো? মেকআপ তোলা থেকে শুরু করে, ত্বকের চর্চা ঠিকমতো না করলে পরদিন আরও ক্লান্ত দেখাবে। চোখেমুখে কালচে ছোপও পড়বে। তাই পুজোর ক’টা দিন কিছু নিয়ম মানলেই ত্বক ঝকঝকে থাকবে। সারা দিনের ক্লান্তির ছাপ পড়বে না মুখে।
রাতে কী ভাবে ত্বকের পরিচর্যা করবেন?
রাতের বেলা ব্যবহারের জন্য একটু ভারী ক্রিম বেছে নিতে পারেন। মনে রাখবেন, যত আর্দ্র থাকবে আপনার ত্বক, তত স্থিতিস্থাপকতা বজায় থাকবে। ত্বক আর্দ্র থাকলে বলিরেখাও পড়বে না।
রাতে শুতে যাওয়ার আগে মুখ ভাল করে ধুতেই হবে। যতই ক্লান্ত থাকুন না কেন, মেকআপ এবং সারা দিনের ক্লান্তির সব ছাপ ধুয়ে ফেলুন মুখ থেকে। অলিভ বা নারকেল তেল ত্বকের মেকআপ তোলার জন্য খুব ভাল। তবে অ্যালকোহল বা সুগন্ধিযুক্ত ফেস ওয়াশ ব্যবহার না করলেই ভাল হয়। মুখ ধোয়ার পর উষ্ণ জলে তোয়ালে ভিজিয়ে তা দিয়ে ধীরে ধীরে মুখ মুছে নিন। তার পর ব্যবহার করুন রোজের ময়েশ্চারাইজ়ার।
যদি সময় থাকে তা হলে ঘুমোনোর আগে ফেসপ্যাক লাগিয়ে নিতে পারেন। যে হেতু ত্বক সারা রাত বিশ্রাম পায়, তাই ফেসপ্যাক লাগালে তার ফলও ভাল পাওয়া যায়। আপনার ত্বক তৈলাক্ত না শুষ্ক, সেই বুঝে ফেসপ্যাক বাছতে হবে। না হলে বাড়িতেই বানিয়ে নিন। গোলাপ জল এবং মুলতানি মাটি (স্বাভাবিক এবং তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে) কিংবা টক দই, মধু এবং পাকা কলা (শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে) একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকে কী ধরনের ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করছেন তা-ও গুরুত্বপূর্ণ। যদি ময়েশ্চারাইজ়ারে ভিটামিন সি থাকে, তা হলে তা রাতে কোনও কাজ করবে না। রাতের জন্য এমন ময়েশ্চারাইজ়ার বেছে নিন, যাতে ভিটামিন ই আছে।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ঘরেও ময়েশ্চারাইজ়ার তৈরি করে নিতে পারেন। অল্প দুধ, লেবুর রস, দু’টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজ়ার। এই ময়েশ্চারাইজ়ারে থাকা দুধ ত্বক কোমল করবে ও অলিভ অয়েল ত্বকের পিএইচের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে।