পুরনো শাড়ি দিয়েই বানিয়ে ফেলুন ঝকঝকে নতুন পোশাক। ছবি: সংগৃহীত।
সামনেই বিয়েবাড়ির মরসুম শুরু হচ্ছে। অনেকের কাছেই বন্ধুবান্ধব থেকে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বিয়ের নিমন্ত্রণ এসেছে। আর বিয়েবাড়ি মানেই তো সাজগোজ। বিয়েবাড়িতে নতুন কী পরবেন, সেই ভেবে নাজেহাল হচ্ছেন অনেকেই। বিয়ে মানেই তো গায়ে আইবুড়ো ভাত, গায়েহলুদ, সঙ্গীত, বিয়ে, বৌভাত— একাধিক অনুষ্ঠান। সব অনুষ্ঠানের জন্য নতুন জামাকাপড় কিনতে হলে পকেটে টান পড়বে অনেক বেশি। এ ক্ষেত্রে মুশকিল আসান হতে পারে আলমারিতে পরে থাকা মায়ের পুরনো সিল্কের শাড়ি দিয়ে। আলিয়া ভট্ট, করিনা কপূর, ম্রুণাল ঠাকুর থেকে শুরু করে জাহ্নবী কপূর— মায়ের পুরনো শাড়ি পরেই তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন বলি তারকারা। অনেক সিল্কের শাড়ি এমন থাকে, যা মায়েরা আর পরতে চান না। কোনওটার রং গাঢ় কিংবা কোনওটার মধ্যে বড় বেশি জরির কারুকাজ। মায়ের সেই সব শাড়ি দিয়েই বানিয়ে ফেলুন ডিজ়াইনার পোশাক। কী কী রাখতে পারেন সেই পোশাকের তালিকায়, রইল হদিস।
শ্রদ্ধা কপূরের পরনে জমকালো কো-অর্ড সেট। ছবি: সংগৃহীত।
কো-অর্ড সেট: ইদানীং বলি নায়িকাদের পছন্দের পোশাকের তালিকায় কো-অর্ড সেট রয়েছে প্রথম। ফ্যাশনে দারুণ ‘ইন’ সেই পোশাক। বিশেষ করে গরমের মরসুমে বিমানবন্দর যাওয়া হোক কিংবা কোনও ছবির প্রচার, কফি ডেটে যাওয়া হোক কিংবা কোনও পার্টি— বলিপাড়ার অভিনেত্রীদের পরনে প্রায়ই চোখে পড়ছে কো-অর্ড সেট। বিয়েবাড়িতে পরার জন্য মায়ের জমকালো কোনও সিল্কের শাড়ি দিয়ে কো-অর্ড সেট বানিয়ে ফেলতে পারেন।
পুরনো বেনারসি দিয়েই বানিয়ে ফেলুন দীপিকা পাড়ুকোনের মতে জমকালো ওড়না। ছবি: সংগৃহীত।
ওড়না: মায়ের বিয়ের বেনারসি ধীরে ধীরে ফেঁসে যাচ্ছে? তাই দিয়েই বানিয়ে নিন ওড়না। যে কোনও জমকালো কুর্তা বা সালোয়ারের সঙ্গে দিব্যি মানিয়ে যাবে। বিয়েবাড়ি বা অনুষ্ঠান বাড়িতে ওই একটি ওড়নাই আপনার লুক একেবারে বদলে দেবে।
পুরনো সিল্কের শাড়ি দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন করিশ্মা কপূরের মতো জ্যাকেট। ছবি: সংগৃহীত।
লং জ্যাকেট: শাড়ির সঙ্গে লং জ্যাকেট পরার চল বেড়েছে বেশ। হালকা একরঙা কোনও শাড়ির সঙ্গে জমকালো কারুকাজ করা একটি লম্বা জ্যাকেট পরে ফেলতে পারেন। মায়ের জমকালো কোনও সিল্কের শাড়ি থাকলে এই ধরনের জ্যাকেট ভাল মানাবে। কেবল শাড়ির সঙ্গে নয়, জিন্স কিংবা প্লাজ়োর সঙ্গে পরে নিলে মেহন্দি-সঙ্গীতের সন্ধ্যায় এমন পোশাক পরে তাক লাগাতে পারেন।
গাউন
মায়ের পুরনো শাড়ি কেটে কিন্তু খুব ভাল গাউন বানানো যায়। বিশেষ করে সিল্কের শাড়ি যদি থাকে, তা দিয়ে ভাল গাউন তৈরি হয়ে যাবে। ফুল প্রিন্টের বা ছাপা শাড়ি হলেও ক্ষতি নেই। আপনার পরনে ফ্লোরাল প্রিন্টের গাউন দেখে কেউ ধরতেই পারবে না যে শাড়ি কেটে বানানো হয়েছে। গাউন ছাড়া আনারকলি স্যুটও বানাতে পারেন।
লেহঙ্গা: বাজার থেকে পছন্দসই লেহঙ্গা কিনতে হলে কম করে হলেও ৫০০০-১০০০০ টাকা খরচ পড়বে। বিয়েবাড়িতে লেহঙ্গা পরার শখ হলে পুরনো শাড়ি দিয়েই বানিয়ে ফেলুন ঘেরযুক্ত লেহঙ্গা। অল্প খরচেই পেয়ে যাবেন মনের মতো পোশাক। লেহঙ্গাটি আরও সুন্দর করতে লেসের কারুকাজ করতে পারেন। সঙ্গে মানাসই একটা ডিজ়াইনার ব্লাউজ় আর নেটের ওড়না পড়ে নিলেই হল।