কাঁচা দুধ মাখবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।
অ্যালো ভেরা জেল থেকে শুরু করে যত ধরনের দামি, কম দামি ময়েশ্চারাইজ়ার রয়েছে, প্রায় সব কিছুই মুখে মেখে ফেলেছেন। কিন্তু গরমকালেও ত্বক খসখস করছে। গরমকালে, বিশেষ করে অনেক ক্ষণ এসিতে থাকার কারণে ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হয়। আবার, অনেকেই মনে করেন, শীতকালের মতো স্নান করার পর ত্বকে ময়েশ্চারাইজ়ার বা ক্রিম মাখার প্রয়োজন নেই। স্নান করার পর এমনিতেই ত্বক আর্দ্র হয়ে থাকে। তার উপর ঘাম হলেও ত্বকে টান ভাব তেমন বোঝা যায় না। কিন্তু যাঁদের ত্বকের ধরন শুষ্ক, তাঁরা প্রায় সারা বছরই এই সমস্যায় ভোগেন। রূপটানশিল্পীরা বলছেন, এই সমস্যার দারুণ একটি ঘরোয়া টোটকা হতে পারে কাঁচা দুধ। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা থেকে জেল্লা বাড়িয়ে তোলা— এই উপাদান মাখলে সবই সম্ভব।
১) ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে
কাঁচা দুধের মধ্যে ভিটামিন এ এবং বি রয়েছে। নিয়মিত মুখে কাঁচা দুধ মাখলে ত্বকের বয়সজনিত সমস্যাগুলি রুখে দেওয়া যায়। বলিরেখা, কালচে দাগছোপ, চামড়া কুঁচকে যাওয়ার মতো লক্ষণগুলিও বশে রাখা যায়।
২) প্রাকৃতিক ক্লিনজ়ার
নানা রকম ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর কাঁচা দুধ ক্লিনজ়ার হিসাবেও দারুণ কাজের। দুধের সঙ্গে সামান্য ওট্স বা পাউরুটির গুঁড়ো মিশিয়ে মাখলে মুখ পরিষ্কারও হয়। আবার ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর করতে এক্সফোলিয়েটর হিসাবেও দারুণ কাজ করে।
কাঁচা দুধ ত্বকের উন্মুক্ত ছিদ্র বা রন্ধ্রে জমা তেল, ধুলো-ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত।
৩) ব্রণ নিয়ন্ত্রণে রাখে
কাঁচা দুধের মধ্যে রয়েছে ল্যাক্টিক অ্যাসিড। যা ত্বকের উন্মুক্ত ছিদ্র বা রন্ধ্রে জমা তেল, ধুলো-ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখে এই উপাদান।