ছবি : সংগৃহীত।
উৎসব কিন্তু শেষ হয়নি। বরং এখন সবে শুরু। এর পরে লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো, দীপাবলী, ভাইফোঁটা, জগদ্ধাত্রী পুজো, বাঙালির উৎসব শরতে শুরু হয় ঠিকই চলে শীতের শেষ পর্যন্ত। অথচ এই চার দিনের অনিয়মেই চুলের বারোটা পাঁচ। কারও চুল রুক্ষ্ম দেখাচ্ছে তো কেউ হারিয়েছেন চুলের স্বাভাবিক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ভাব। শিকেয় উঠেছে নিয়মমাফিক যত্ন আত্তি। নানারকম হেয়ার স্টাইলের জন্যও চুলের ক্ষতি হয়। হঠাৎ অনেক অনিয়মের পর আমরা যেমন হালকা খাবার খেয়ে পেটের যত্ন নিই। তেমন চুলেরও যত্ন দরকার। তিন ঘরোয়া টোটকায় বেশি সময় নষ্ট না করেই ফিরবে চুলের স্বাস্থ্য।
ছবি: সংগৃহীত
১। ডিম দিয়ে পুরনো কিন্তু কার্যকরী টোটকা
জানি প্রথমেই বলবেন চুলে ডিমের গন্ধ পাওয়া যাবে। কিন্তু চুল ভাল আর ঝলমলে রাখতে ডিমের মতো উপকারী উপাদান কমই আছে। কারণ ডিমে আছে ভরপুর প্রোটিন এবং চুলের বাড়ের জন্য উপযোগী নানা ভিটামিনও। যা চুলে পুষ্টি জোগায়।
উপকরণ: একটা ডিম, দুই টেবিল চামচ দই, এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
প্রণালী: ডিমটাকে ভাল করে ফেটিয়ে নিয়ে তাতে দই এবং তেল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। মাথার ত্বক এবং চুলে ওই প্যাক লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। তার পরে ঈষদোষ্ণ জল দিয়ে ভাল করে ঘষে ধুয়ে ফেলুন।
ডিমের গন্ধ এড়াতে চুলে অন্তত তিন বার ভাল করে করে ধুতে হবে। দু’বার শ্যাম্পু দিয়ে ধোয়ার পরে শেষ বারে সাধারণ ভিনিগার একটি স্প্রে বটলে ভরে পুরো মাথায় স্প্রে করুন। কিছু ক্ষণ থাকতে দিন। তার পরে জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। গন্ধ চলে যাবে।
ছবি: সংগৃহীত
২। মেথি এবং দই
মেথি চুল পড়া কমায়, খুশকিও দূর করে। আর দইয়ে রয়েই প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজ়ার। যা রুক্ষ চুলকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায়।
উপকরণ: ২ টেবিলচামচ মেথি দানা এবং ৩ টেবিলচামচ দই
প্রণালী: রাতে মেথিদানা ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ওই ভেজানো মেথিদানা বেটে নিন। তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন দই। ৩০ মিনিট মাথার ত্বক এবং চুলে লাগিয়ে রেখে দিন। তার পরে ভাল করে জল এবং হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ছবি: সংগৃহীত
৩। কলা এবং মধু
চুল বা ত্বকের পুষ্টি জোগাতে এই দুই উপকরণের জবাব নেই। হাতের কাছেই থাকে। অথচ সেসব ফেলে বাজারচলতি নানা রূপটান কিনে ব্যবহার করেন অনেকে।
উপকরণ: ১টি পাকা কলা এবং এক টেবিল চামচ মধু
প্রণালী: কলাটাকে ভাল করে ঘেঁটে নিন। তাতে মিশিয়ে নিন মধু। এ বার ভিজে চুলে গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভাল করে মাখিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন।