চুল পড়ার হার বেড়ে গিয়েছে? ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষাকালে এমনিতেই চুল পড়ে। সামনেই পুজো, তাই চুলে কেরাটিন বা স্মুদনিং করাবেন বলে মনস্থির করেছেন। কিন্তু রাসায়নিক দেওয়া সেই সব পদ্ধতির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও তো আছে। চুলের গোড়া দুর্বল হলে তার উপর এই সব ট্রিটমেন্ট করাও বেশ চিন্তার। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, চুল পড়ার জন্য শুধু এই ধরনের ট্রিটমেন্টকে দোষ দেওয়া যায় না। শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি হলেও কিন্তু চুলের স্বাভাবিক আয়ুষ্কাল কমে আসে। মাথার ত্বক এবং ফলিকলের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন এবং খনিজের প্রয়োজন রয়েছে। আবার, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলেও চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে। চুলের স্বাভাবিক আয়ুষ্কাল ছোট হয়ে আসে। যার ফলে চুল ঝরার পরিমাণ বেড়ে যায়।
চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে কোন ভিটামিন কী ভূমিকা পালন করে?
১) নতুন কোষ তৈরি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে ভিটামিন এ-এর যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পেতে গেলে ভিটামিন এ রয়েছে এমন খাবার, যেমন গাজর, কমলালেবু, পেঁপে, মাছ, দুগ্ধজাত খাবার ডায়েটে রাখতে হবে।
২) ভিটামিন সি যেমন রোগ প্রতিরোধ শক্তি মজবুত করতে, ত্বক ভাল রাখতে সাহায্য করে, তেমন এর মধ্যে যে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান রয়েছে, তা খাবার থেকে আয়রন শোষণ করতেও সাহায্য করে। এই আয়রন কিন্তু চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম প্রয়োজনীয় একটি খনিজ।
৩) খাবার থেকে ক্যালশিয়াম এবং ফসফরাস শোষণ করতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। চুলের জন্য এই খনিজগুলি প্রয়োজনীয়। ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ট্রিকোলজি’-তে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে দেখা গিয়েছে, মহিলাদের মাথায় যে ধরনের টাক পড়ে, তার সঙ্গে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির যোগ রয়েছে। সামুদ্রিক মাছ, ডিম, মাশরুম, চিজ়, কাঠবাদাম, সূর্যমুখী ফুলের বীজ, ডালের মধ্যে ভিটামিন এ রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে।