চোখের নীচের কালো দাগছোপ পুজোর আগেই দূরে যাক। ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর আগে কেনাকাটার পাশাপাশি জোরকদমে চলছে রূপচর্চার পর্ব। পার্লারগুলিতে পা ফেলার জায়গা নেই। ফেশিয়াল থেকে শুরু করে স্পা— পুজোর সাজের প্রস্তুতি তুঙ্গে। পার্লারে গিয়ে কম সময়ে জেল্লাদার ত্বক পাওয়া গেলেও চোখের নীচের কালো দাগ সহজে তোলা যায় না। দীর্ঘ দিনের ক্লান্তি, পরিশ্রমের ছাপ কোনও প্রসাধনীর ব্যবহারেই দূর করা যায় না। এ দিকে পুজো নিঃশ্বাস ফেলছে ঘাড়ের কাছে। হাতে মাত্র কয়েকটি দিন বাকি। এই কম সময়ে চোখের নীচের কালো দাগছোপ কী করে দূর করা যায়, সেই চিন্তায় নাওয়া-খাওয়া প্রায় মাথায় উঠতে বসেছে। ফেস প্যাক, প্রসাধনীর বদলে কম সময়ে চোখের নীচের কালো দাগছোপ দূর করতে বরং ভরসা রাখুন কয়েকটি খাবারে। পুজোর আসতে আর যে কয়েকটি দিন বাকি, নিয়ম করে সেগুলি খেলে সুফল পাবেন।
টম্যাটো
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর টম্যাটো ভিতর থেকে ত্বকের খেয়াল রাখে। রক্ত সঞ্চালন সচল রাখে, ফলে কোথাও রক্ত জমাট বাঁধতে পারে না। ত্বকও ভিতর থেকে সু্স্থ এবং সতেজ থাকে। শত পরিশ্রমেও যাতে চোখের নীচে কালি পড়তে না পারে, তার জন্য টোম্যাটো খেতে হবে বেশি করে।
শসা
শসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জল। ত্বক আর্দ্রতা হারালেই সাধারণত নানা দাগছোপ দেখা দিতে শুরু করে। তাই ত্বক যাতে সু্স্থ এবং সতেজ থাকে, তার জন্য শসা খেতে পারেন। স্যালাডে হোক কিংবা রায়তা বানিয়ে, নিয়ম করে যদি শসা খেতে পারেন, চোখের নীচে সহজে দাগছোপ পড়বে না।
কাঠবাদাম
ওজন কমায় তো বটেই, সেই সঙ্গে চোখের নীচের দাগছোপ প্রতিরোধেও কাঠবাদামের জুড়ি মেলা ভার। কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন ই। এই ভিটামিন ত্বকে পর্যাপ্ত পুষ্টি জোগায়। ব্রণ, র্যাশের ঝুঁকি কমায়। সেই সঙ্গে চোখের নীচের কালো দাগ দূর করতেও কাঠবাদাম সত্যিই উপকারী।
সবুজ শাকসব্জি
ব্রকোলি, ঝিঙে, পটল, কাঁচা পেঁপে— সবুজ শাকসব্জিতে স্বাস্থ্যকর পুষ্টিগুণের অভাব নেই। শাকসব্জি খেলে শরীর ভাল থাকে তো বটেই, ত্বকের যত্নেও সব্জি খাওয়ার কোনও বিকল্প হয় না। সবুজ শাকসব্জি যত বেশি খাবেন, ত্বকের স্বাস্থ্য তত ভাল থাকবে। চোখের নীচের দাগছোপ থেকে ব্রণ— ত্বক সংক্রান্ত নানাবিধ সমস্যার সমাধান লুকিয়ে রয়েছে সব্জিতে।
ব্লু বেরি
বেরি-জাতীয় সমস্ত ফলে রয়েছে ভিটামিন কে, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন সি, ওমেগা ৩-এর মতো উপাদান। এগুলি ত্বকের যত্নে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে চোখের নীচের দাগছোপ আটকাতে ব্লু বেরি সত্যিই কার্যকরী।