অতিরিক্ত ক্যাফিনজাতীয় এবং কৃত্রিম মিষ্টি দেওয়া ঠান্ডা নরম পানীয় চুলের জন্য ক্ষতিকর। ছবি: সংগৃহীত।
সুস্থ, ঝলমলে, একঢাল চুলের স্বপ্ন সব মেয়েদেরই থাকে। পুরুষরাও চান না অল্প বয়সে মাথায় টাক পড়ে যাক। কিন্তু জীবনযাত্রায় পরিবর্তন, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, দূষণ এবং পারিবারিক ইতিহাস, চুল পড়ার জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে দায়ী। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, চুল ঝরে পড়ার পিছনে আরও একটি কারণ বিষের মতো কাজ করে। অতিরিক্ত ক্যাফিনজাতীয় এবং কৃত্রিম মিষ্টি দেওয়া ঠান্ডা নরম পানীয় চুলের জন্য ক্ষতিকর।
হালের গবেষণা বলছে, সপ্তাহে ১ থেকে ৩ লিটার পর্যন্ত ক্যাফিনজাত পানীয়, নরম ঠান্ডা পানীয় অথবা তৎক্ষণাৎ চনমনে করে তোলে এমন পানীয় খেলে পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে সকলেরই চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়। বিভিন্ন দেশের পুরুষ এবং মহিলাদের নিয়ে মাস ছয়েক ধরে চিনের বেজিংয়ে এক বিশ্ববিদ্যালয়ে চলা সমীক্ষা শেষে গবেষকরা এমন সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছেছেন। গবেষকদের মতে, “নির্দিষ্ট কিছু পানীয় নিয়মিত খেলে পুরুষদের মাথায় টাক পড়ার আশঙ্কা ৩০ শতাংশ বাড়ে।” তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়ও বাতলে দিয়েছেন তাঁরা। এই জাতীয় পানীয় না খেয়ে প্রতি দিনের খাবারে স্বাস্থ্যকর কিছু প্রোটিন, খনিজ পদার্থ, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট যোগ করতে পারলেই চুলের ঘনত্ব এবং বাড় অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়াও আর কী কী খেলে চুলের ঘনত্ব বাড়বে?
আমলকির রস
ভিটামিন সি-র প্রাকৃতিক উৎস হল আমলকি। মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগাতে, কোলাজেন তৈরিতে ভিটামিন সি-র যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
চুলের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গাজরের রস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। ছবি: সংগৃহীত।
গাজরের রস
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এ, ই এবং বি সমৃদ্ধ গাজর চুলের জন্য যথেষ্ট উপকারী। চুল ঝরে পড়া থেকে অকালে চুল পেকে যাওয়া, সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গাজরের রস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।
অ্যালো ভেরার রস
ভিটামিন এ, সি, ই ছাড়াও অন্যান্য খনিজে ভরপুর এই ভেষজটি চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়। চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি, জেল্লাও ফিরিয়ে আনে।