কোঁকড়ানো চুল বশে থাকবে কিসে? ছবি- সংগৃহীত
কোঁকড়ানো চুল দেখতে ভাল লাগলেও তাকে সামাল দেওয়া কিন্তু যথেষ্ট ঝক্কির। বিশেষ করে শীতকালের রুক্ষ আবহাওয়ায় চুল হয়ে যায় নিষ্প্রাণ। চুল, মাথার ত্বক আর্দ্রতা হারায়। ফলে চুলের ডগা ফাটা, খুশকি, চুল ঝরার মতো সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। স্নানের পর চুলের আর্দ্র থাকলেও কিছু ক্ষণের মধ্যেই আবার উসকোখুসকো হয়ে যায়। দিনের শেষে চুলের জট ছাড়াতে গিয়ে আরও একগোছা চুল উঠে আসে।
নানা কাজের মাঝে নিয়মিত সালোঁয় যাওয়াও সম্ভব নয়। তবে বাড়িতেই কিছু বিষয় মাথায় রেখে যদি চুলের যত্ন নেওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে কোঁকড়ানো চুলও বশে থাকবে।
কোঁকড়ানো চুলের যত্নে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন?
শ্যাম্পু করার সময়ে কী কী খেয়াল রাখবেন?
১) সপ্তাহে দু’বারের বেশি শ্যাম্পু না করলেই ভাল।
২) মাথার ত্বকের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু বেছে নিতে হবে।
৩) কোঁকড়ানো চুলের জন্যও আলাদা শ্যাম্পু পাওয়া যায়।
চুলেরও আর্দ্রতা প্রয়োজন
১) চুলের ডগা ফাটার সমস্যা থাকলে মাসে দু’বার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
২) মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে নিয়মিত তেল মালিশ করতে হবে। এখন অবশ্য বিভিন্ন ধরনের সিরাম পাওয়া যায়। তেলের পরিবর্তে মাথার ত্বকে সিরামও ব্যবহার করতে পারেন।
৩) নারকেল তেলের সঙ্গে অলিভ এবং ক্যাস্টর অয়েল সম পরিমাণে মিশিয়ে সপ্তাহে এক দিন মাথায় মাখতে পারেন। তাতে রক্ত সঞ্চালন যেমন ভাল হয়, তেমন চুলের ফলিকলগুলিও উদ্দীপিত হয়।
সুরক্ষিত রাখা
১) বাইরে বেরোলে মাথায় স্কার্ফ বেঁধে রাখতে পারেন। হাওয়ায় চুল রুক্ষ হওয়ার থেকে বাঁচাতে এই পদ্ধতি কাজে আসবে।
২) রাতে শোয়ার সময়ে আলগা করে চুল বেঁধে রাখলে ঘষা খেয়ে চুলের ডগা ফাটার সম্ভাবনা কমবে।
৩) চুলের সাজসজ্জা করার ক্ষেত্রে জেল নয়, ক্রিম বেসড্ প্রসাধনী ব্যবহার করাই ভাল।