৩০ পেরলে কেমন হবে ত্বকের যত্ন? ছবি: সংগৃহীত।
বয়সের কোঠা ৩০ পেরোতেই শরীরের যত্নে বদল আসা জরুরি। কারণ, এই সময় থেকে সঠিক যত্নের অভাবে নানা রোগবালাই শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে। তবে শুধু শরীর নয়, ত্বকের যত্নেও পরিবর্তন আনতে হবে। কাজ, পেশাগত ব্যস্ততার কারণে ত্বকের যত্নে আলাদা করে নজর দিতে পারেন না অনেকেই। দীর্ঘ দিনের অযত্ন আর অবহেলায় ত্বকের অবস্থা ক্রমশ বেহাল হতে শুরু করে। অথচ এই বয়সে ত্বক যদি সঠিক যত্ন না পায়, তা হলেই মুশকিলে পড়তে পারেন। ৪০-এর আগেই ত্বকে বলিরেখা, মেচেতার দাগছোপ পড়ে যেতে পারে। বয়স তিরিশ পেরোলে ত্বকের খেয়াল রাখতে হবে ধাপে ধাপে। কেমন হবে সেই যত্ন?
বয়স তিরিশ পেরোলে ত্বকের খেয়াল রাখতে হবে ধাপে ধাপে। ছবি: সংগৃহীত।
ক্লিনজিং
সপ্তাহের প্রতিটি দিন ব্যস্ততা হল অন্যতম সঙ্গী। অফিস থেকে ফিরে ক্লান্ত হয়ে পড়ে শরীর। ফলে সময় নিয়ে ভাল করে ত্বক পরিষ্কার করা হয় না। কিন্তু এমনটা করলে চলবে না। ত্বকের জন্য কিছুটা সময় রাখুন। ত্বকের যত্নের প্রথম ধাপ ক্লিনজিং। ক্লিনজার দিয়ে ভাল করে ত্বকের জমে থাকা ময়লা তুলে ফেলুন। তার পর ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
এক্সফোলিয়েশন
ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিকে হয়ে যায় মরা চামড়ার জন্য। সপ্তাহভর নিজের দিকে তাকানোর সময় না পেলেও একটু সময় বার ত্বকের এক্সফোলিয়েশনে জোর দিন। তার জন্য ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন স্ক্রাব। সময় থাকলে বাড়িতেও কিন্তু স্ক্রাব বানিয়ে নিতে পারেন।
ময়েশ্চারাইজিং
রূপচর্চার অন্যতম ধাপ হল ময়েশ্চারাইজারের ব্যবহার। ত্বক টানটান এবং মসৃণ রাখতে ময়েশ্চারাইজার না মাখলে চলবে না। তাই রূপচর্চার রুটিন থেকে ময়েশ্চারাইজার বাদ দিলে চলবে না। বরং ময়েশ্চারাইজিংয়ের প্রতি বা়ড়তি নজর দিতে হবে।
ফেস মাস্কের ব্যবহার
ব্রণর সমস্যা রয়েছে অনেকেরই। অথচ ব্রণর মোকাবিলা করা সহজ এক দিনের চেষ্টায় ব্রণ চলে যাবে না। তবে ফেস মাস্ক এ ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও ফেস মাস্কের গুরুত্ব রয়েছে। ৩০-এর পর এ ব্রণর সমস্যা যাতে বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করতে না পারে, তার জন্য রূপচর্চার চতুর্থ ধাপ হতে পারে ফেস মাস্কের ব্যবহার।
পর্যাপ্ত ঘুম
ত্বকের যত্ন শুধু বাইরে থেকে নিলে চলবে না। ভিতর থেকে ত্বকের খেয়াল রাখতে হবে। সেটা করতে শুধু ছুটে বেড়ালে চলবে না। পর্যাপ্ত বিশ্রামও নিতে হবে। ক্লান্তির ছাপ যদি ত্বকে থাকে, তা হলে কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করেই লাভ হবে না।