ভিটামিন সি ত্বকের বন্ধু এতে কোনও সন্দেহ নেই। প্রতীকী ছবি।
ত্বকের যত্নে ভিটামিন সি-র ভূমিকা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। ত্বক ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় ভিটামিন সি। নানা রকম সংক্রমণ থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখতে এই ভিটামিনের বিকল্প নেই। ত্বকের যত্নে অনেকেই তাই ভরসা রাখেন ভিটামিন সি-র উপর। রোজের রূপরুটিনে ভিটামিন সি রাখার কথা বলেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরাও। ত্বকের জেল্লা বাড়াতে চিকিৎসকরা তাই রোজের পাতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আঙুর, কমলালেবু, স্ট্রবেরির মতো ফল রাখার কথা বলে থাকেন। ত্বক ভাল রাখতে প্রতি দিন এক জন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের ৯০ মিলিগ্রাম ও পূর্ণবয়স্ক মহিলার ৭৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি প্রয়োজন। প্রসাধনী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও ভিটামিন সি বেশি প্রাধান্য পায়। প্রসাধন সামগ্রীর উপাদানে ভিটামিন সি আছে কি না, তা কেনার আগে অনেকেই যাচাই করে নেন। আসলে অনেকেই বিশ্বাস করেন ত্বক বা চুলে ব্যবহৃত কোনও প্রসাধনী যদি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হয়, সে ক্ষেত্রে অনেক বেশি সুফল পাওয়া যায়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন সি ত্বকের বন্ধু এতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে বেশ কিছু প্রসাধনী রয়েছে, যেগুলির সঙ্গে ভিটামিন সি মিশিয়ে না ব্যবহার করাই ভাল। এতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কোন প্রসাধনীর সঙ্গে ভিটামিন সি মেশাবেন না?
বেশ কিছু প্রসাধনী রয়েছে, যেগুলির সঙ্গে ভিটামিন সি মিশিয়ে না ব্যবহার করাই ভাল। প্রতীকী ছবি।
সানস্ক্রিন
রোদে বেরোচ্ছেন। তার আগে সানস্ক্রিনের সঙ্গে ভিটামিন সি মিশিয়ে মেখে নিলেন। এমন কখনওই করবেন না। সানস্ক্রিন তৈরি হয় বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান দিয়ে। ভিটামিন সি-র সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার ফলে অক্সিডেটিভ যৌগ তৈরি করে। যা ত্বকের জন্য একেবারেই ভাল নয়। এতে উপকারের চেয়ে ক্ষতি হয় বেশি।
রেটিনল
ত্বকের যত্নের আরও একটি অস্ত্র রেটিনল। ভিটামিন সি-র পিএইচ-এর মাত্রা ৩। যা ত্বকের যত্নের জন্য একেবারে উপযুক্ত। অন্য দিকে, রেটিনলের পিইচ-এর মাত্রা ৫। তাই এই দু’টি উপাদান একসঙ্গে মেশালে হিতে বিপরীত হতে পারে।
হায়লুরনিক অ্যাসিড
রেটিনলের মতোই হায়লুরনিক অ্যাসিডের পিএইচ মাত্রা ৫। ভিটামিন সি-র সঙ্গে হায়লুরনিক অ্যাসিড মেশালে দু’টোর কোনওটাই কাজে আসবে না। সুফল তো মিলবেই না বরং আরও খারাপ হতে পারে।