চুল খারাপ হয়ে যাওয়ার ভয়ে রং করান না?
চুল হাইলাইট করার শখ হয়েছে? অনেকেই আছেন যাঁরা পার্লারের স্থায়ী হাইলাইটের রং পছন্দ করেন না। তা ছাড়া, পার্লারে ব্যবহৃত রাসায়নিকে চুলের ক্ষতিও করে। তাই ইচ্ছা থাকলেও হাইলাইটের শখ আর পূরণ হয় না। চুলের ক্ষতিও হবে না। অথচ চুলে সুন্দর রং চলে আসবে। তা কি সম্ভব? আলবাত সম্ভব।
রইল সহজ কিছু উপায়ের হদিস, যা জানলে বাড়িতে বসে নিজেই করে নিতে পারবেন হাইলাইট। বাঁচবে সময় আর টাকা দুই-ই।
১) কন্ডিশনার আর দারচিনি: কয়েকটি দারচিনি মিক্সিতে গুঁড়িয়ে নিন। তার পর কন্ডিশনারের সঙ্গে মেশান। এ বার কোনও ব্রাশ দিয়ে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভাল করে লাগিয়ে নিন এই প্যাক। তার পর মোটা দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে চুলে খোঁপা করে রাখুন। ঘণ্টা দুয়েক পরে শ্যাম্পু করে নিন। খুব গাঢ় রং চাইলে প্যাকটি লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপে মাথা ঢেকে শুয়ে পড়ুন। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
প্রতীকী ছবি
২) লেবুর রস: সবচেয়ে সস্তা উপায়ে স্থায়ী হাইলাইটের সমাধান লেবু। চুলে জেল্লা আনতে লেবুর জুড়ি মেলা ভার। একটি পাত্রে লেবুর রসের সঙ্গে সমপরিমাণ জল মেশান। এ বার চুলের গোছা আলাদা আলাদা করে ভাগ করে তাতে লাগিয়ে নিন এটি। এর পর অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে চুল ঢাকুন। রোদে বসুন খানিক ক্ষণ। চুল শুকোলে ঈষদুষ্ণ গরম জলে শ্যাম্পু করে নিন। কয়েক বার এমন করলেই দেখবেন, কেমন রং ধরেছে চুলে!
৩) চায়ের লিকার: ঘরোয়া উপায়ে চুলকে কন্ডিশনিং করতে চাইলে চায়ের লিকার দারুণ সমাধান। কিন্তু জানেন কি, চুল রং করতেও করার ক্ষমতাও রয়েছে এর। তবে যে কোনও রকম চা নয়। এটি করতে ক্যামোমাইল টি ব্যাগ কিনে আনুন। টি ব্যাগ রাখুন গরম জলে। তা রং ছাড়তে শুরু করলে, ভাল করে গুলে নিন গরম জলের সঙ্গে। একটি স্প্রে বোতলে ভরে নিয়ে সেই চা চুল ভাগ করে যেখানে রং করতে চাইছেন সেখানে স্প্রে করুন। এর পর অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে চুল ঢাকুন। রোদে বসুন খানিক ক্ষণ। হালকা লালচে আভার হাইলাইট পেয়ে যাবেন সহজেই।