নবমীর রূপটান হোক জমকালো। ছবি: সংগৃহীত।
নবমী থেকে উৎসবের রং ফিকে হতে শুরু করে। তাই পুজোর শেষ দিনের উদ্যাপনেও খামতি রাখেন না কেউ। নবমীর রাতের সাজগোজ নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা থাকে সকলেরই। সবচেয়ে জমকালো শাড়ি এই রাতে পরবেন বলেই তুলে রাখেন অনেকে। তবে কারুকাজ করা জমকালো শাড়ির সঙ্গে চাই মানানসই মেক আপও। নবমীর ভিড়ে সকলের মাঝে আলাদা করে নজর কাড়তে শুধু চোখ ধাঁধানো শাড়ি পরলেই হবে না। সঙ্গে চাই মানানসই রূপটানও। নবমীর রাতে কী ভাবে সাজাবেন নিজেকে?
বেস মেক আপ হালকা করুন
রাতের মেক আপ হলেও খুব বেশি বেস মেকআপ না করাই ভাল। ত্বকের রঙের সবচেয়ে কাছাকাছি একটি শেড বেছে নিন। খেয়াল রাখুন, মুখে মেকআপ যেন ভাল করে মেশে। মুখের খুঁত ঢাকতে বেশি করে প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না। মুখ খুব বেশি সাদাটে হয়ে গেলে মোটেই ভাল দেখাবে না। কৃত্রিম দেখাবে। খুঁত ঢাকতে গিয়ে আবার নতুন সমস্যা সৃষ্টি হবে।
চোখ হোক মায়াবী
ঠোঁটের রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করুন চোখের মেক আপ। শুধু লাইনার না পরে করতে পারেন স্মোকি আই। যে রঙের শাড়িই পরুন, মানিয়ে যাবে। আইশ্যাডো যেন বেশি চকচকে না হয়। ম্যাট ফিনিশ হলে ভাল। চাইলে আইশ্যাডোর বদলে ব্যবহার করতে পারেন আই পেন্সিলও। খারাপ দেখাবে না।
ভুরু সাজান মন দিয়ে
শুধু চোখ এঁকে ছেড়ে দিলে হয় নাকি! যে ব্রাশ দিয়ে স্মোকি আই করলেন, সেই তুলিটিই আলতো করে বুলিয়ে নিন ভুরু যুগলে। তবে বেশি মোটা করে ভুরু আঁকবেন না। ভাল লাগতে না-ও পারে।
কনট্যুর
গালের হাড় বরাবর কনট্যুর করার সময় মাথায় রাখুন তার রং। কনট্যুর করার সময় বাড়তি মনোযোগ দেওয়া জরুরি। মেকআপের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এটি। ভুল হয়ে গেলে কিংবা হাত নড়ে গেলে গোটা সাজটাই মাটি। খুব গাঢ় রঙের ব্লাশ-অন ব্যবহার করবেন না। বেশি গোলাপি হয়ে গেলে ভাল দেখাবে না।
হাইলাইটার ব্যবহার করুন
সাজগোজের পর কপালে, নাকের উপর হালকা করে একটু হাইলাইটার ব্যবহার করতে পারেন। বেশ চকচকে দেখাবে। চকচকে দেখানোর জন্য আরও একটি কাজ করতে পারেন। মেকআপের শুরুতেই ব্যবহার করুন স্ট্রোব ক্রিম বা ফেস সিরাম। মেকআপও বেশ ভাল বসবে।