ত্বকের যত্নে ব্যবহার করুন তাজা ফল। ছবি: সংগৃহীত।
ঋতু বদলের সঙ্গে বদলে যায় আবহাওয়া। বদল প্রয়োজন হয় ত্বকের পরিচর্যাতেও। রোদের তাপ, ধুলো-বালির ঝাপটা প্রথম সহ্য করতে হয় কিন্তু ত্বককেই। বর্ষা মানেই গরমের সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়া। ভ্যাপসা গরমে প্রবল ঘাম। সঙ্গে থাকে ত্বকের সংক্রমণের সমস্যা। ফুসকুরি, র্যাশ, ব্রণের সমস্যা বৃদ্ধি পায়।
এই সময়ও ত্বকের প্রয়োজন, ক্লিনজ়িং, এক্সফোলিয়েশন ও ময়শ্চারাইজ়িং। তবে মরসুমের সঙ্গে ত্বকের পরিচর্যায় উপাদানে রদবদলের প্রয়োজন হয়। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে ও সংক্রমণ ঠেকাতে রকমারি ফলের রস ব্যবহার করতে পারেন এই সময়।
ক্লিনজ়িং
বর্ষার মরসুমে অন্তত দু’বার খুব ভাল করে ত্বক পরিষ্কার করা দরকার। মুখে জমে থাকা নোংরা, অতিরিক্ত তেল এতে বেরিয়ে যাবে। ত্বক ঠিকমতো পরিষ্কার না হলেও সংক্রমণের সমস্যা বেড়ে যাবে। ক্লিনজ়িংয়ের জন্য ঘরোয়া উপকরণ ব্যবহার করুন।
লাগবে এক চামচ বেসন, এক চামচ ঘরে পাতা টক দই, পেঁপের এক চামচ বেটে নেওয়া শাঁস। সমস্ত উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে মুখে, গলায়, ঘাড়ে লাগিয়ে রেখে দিন মিনিট দশেক। তার পর ভিজে তুলো ঠান্ডা গোলাপ জলে ভিজিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। ক্লিনজ়িংয়ের ফলে ময়লা তো দূর হবেই, সেই সঙ্গে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাবে কালচে হয়ে যাওয়া ত্বক পরিষ্কার হবে।
এক্সফোলিয়েটিং
সপ্তাহে দু থেকে তিন দিন ত্বককে এক্সফোলিয়েট করা জরুরি। ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর করতে এই ধাপ।
দু’চামচের মতো বেদানার সঙ্গে এক চামচ ওট্স, এক চামচ দই মিশিয়ে নিতে হবে। ত্বকে ১৫ মিনিট রেখে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা ফেরাতে এই উপকরণ খুবই কার্যকর। শুধু মুখ নয়, সারা শরীর এ ভাবে পরিষ্কার করে নিন।
ময়শ্চারাইজ়িং
ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে ময়শ্চারাইজ় করতে ব্যবহার করুন অ্যালো ভেরা জেল। এক চামচ অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন এক চামচ বেটে নেওয়া কলা। যোগ করুন এক চামচ মধু। এই প্যাক ত্বককে গভীর ভাবে আর্দ্রতা জোগাবে। কলায় থাকে নানা রকম ভিটামিন ও খনিজ। অ্যালো ভেরা ত্বকের প্রদাহ কমাতে ও ত্বককে টানটান রাখতে সাহায্য করে। বলিরেখাও কমবে এই উপকরণে। ২০ মিনিট এই প্যাক লাগিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। এ ভাবে ত্বকের চর্চা করলে বর্ষাতেও ত্বক থাকবে ঝকঝকে