মেক আপের সময় কয়েকটি ভুল এড়িয়ে চলা যায়। প্রতীকী ছবি।
ব্রণ হওয়ার কি নির্দিষ্ট কোনও কারণ রয়েছে? এ বিষয়ে নানা জনের নানা মত। কেউ বলেন, অতিরিক্ত ভাজাভুজি খেলেই ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। আবার কারও ধারণা, তৈলাক্ত ত্বক হলেই ব্রণ হবে। আসলে কোনটি ব্রণর সমস্যার নেপথ্যে রয়েছে তা বোঝা যায় না। বেশি প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করলেও ব্রণর ঝুঁকি থাকে। তবে এ বিষয়ে চর্মরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মেক আপ করলেই ব্রণ হবে, তার কিন্তু সত্যিই কোনও মানে নেই। বাজারচলতি প্রসাধনী ব্যবহার করেও ত্বক ভাল রাখা সম্ভব, যদি মেক আপের সময় কয়েকটি ভুল এড়িয়ে চলা যায়।
মেক আপ না তুলে ঘুমিয়ে পড়া
রাতে পার্টি সেরে ফিরতে অনেক রাত হয়ে গিয়েছে। দু’চোখ ঘুমে জড়িয়ে এসেছে। তাই শুধু পোশাক বদলেই ঘুমিয়ে পড়লেন। সকালে উঠে যদি দেখেন মুখে দু’-একটা ব্রণ হয়েছে, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ এটাই হওয়ার ছিল। প্রসাধন সামগ্রীতে রয়েছে নানা রাসায়নিক উপাদান। সেগুলি দীর্ঘ ক্ষণ ত্বকের সংস্পর্শে থাকার ফলেই ব্রণ হয়। তাই মেক আপ করলেও তা যত্ন করে পরিষ্কার করা বেশি জরুরি।
বেশি প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করলেও ব্রণর ঝুঁকি থাকে। ছবি: সংগৃহীত।
অপরিষ্কার হাতে মেক আপ করা
নোংরা হাতে মেক আপ করলেও কিন্তু ব্রণ হতে পারে। মেক আপ ব্রাশ ব্যবহার করলেও কিছু ক্ষেত্রে হাত লাগাতেই হয়। হাতে যদি জীবাণু লেগে থাকে, তাহলে সেই ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ থেকেই ব্রণ জন্ম নিতে পারে। ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ এটি। তাই অবশ্যই হাত ধুয়ে তার পর মেক আপ করুন।
মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রসাধন সামগ্রীর ব্যবহার
মেক আপ করার আগে দেখে নিন, যে প্রসাধনী ব্যবহার করছেন, তার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে কি না। মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া কোনও জিনিস ব্যবহার করা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এর ফলে ব্রণ তো বটেই, এমনকি ত্বকের ক্যানসারেরও ঝুঁকি থাকে। ঝুঁকি এড়াতে এই বিষয়টি নিয়ে সচেতন থাকা জরুরি।