সহজ কৌশলে রুক্ষ চুলও সুন্দর লাগতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
একঢাল সুন্দর চুল যেমন সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়, তেমনই রুক্ষ চুল সম্পূর্ণ সাজই মাটি করে দিতে পারে। কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও অনেক সময় রুক্ষ চুলে জেল্লা ফেরে না। বাইরের ধুলো-ময়লায়, কেশ বিন্যাস করতে গিয়ে ব্যবহার করা তাপ ও রাসায়নিকের জেরে চুলের ক্ষতি আটকানো যায় না।
সেক্ষেত্রে কী করণীয়? উপায় আছে। শুধু জানতে হবে সঠিক কৌশল। উপযুক্ত কেশ বিন্যাসে চুলের খামতিও ঢাকা পড়ে যায়।পাশাপাশি অতি সহজ উপায়ে ধীরে ধীরে চুলের জেল্লা বাড়ানোও সম্ভব হয়।
কী সেই কৌশল, যাতে রুক্ষ চুল সুন্দর লাগবে?
শুকনো চুলেই এটি করতে হবে। বেশ কিছুটা করে চুল নিয়ে হালকা হাতে আঁচড়ে নিতে হবে। তারপর আঙুলের সাহায্যে আগা থেকে চুলটি ঘুরিয়ে নিতে হবে। এ ভাবে ভাগে ভাগে সম্পূর্ণ মাথার চুল ঘুরিয়ে-ঘুরিয়ে নিলেই দেখতে একেবারে অন্য রকম লাগবে। ঘুরিয়ে পাক খাইয়ে নেওয়া চুল চিরুনি দিয়ে আর আঁচড়ানোর দরকার নেই। তবে প্রয়োজন মনে করলে হালকা হাতে পাকগুলি কিঞ্চিৎ আলগা করে দেওয়া যেতে পারে। খুব সহজেই এই কেশ বিন্যাস করা যায়। এতে রুক্ষ চুল বা ফেটে যাওয়া ডগা পাক খেয়ে ঢেকে যায়। বাইরে থেকে দেখতে বাজে লাগে না।
আর কী কী করা যায়?
অনেকেই চুলে সিরাম ব্যবহার করেন। এতে চুল চকচকে লাগে। রুক্ষ চুল পাখির বাসার মতো হয়ে যায় না। তবে সিরাম না লাগিয়ে বাজারচলতি কোনও ভাল চুলের ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন। এতে য কোনও কেশ বিন্যাসে চুল দেখতে বেশি ভাল লাগবে।
কৌশল রয়েছে আরও
স্নানের পর চুল আঁচড়াতে গেলেই চুলে টান পড়ে। মুঠো মুঠো চুল উঠে আসে। এদিকে রুক্ষ চুলের সমস্যা যাঁদের, তাঁদের আবার স্নানের পর চুল খোলা রেখে দিলেই জট পাকিয়ে যায়। এক্ষেত্রেও উপায় আছে। স্নান করতে যাওয়ার আগে চুল ভাল করে আঁচড়ে নিলে, এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। তবে স্নানের সময় চুল নিয়ে আর বেশি ঘষাঘষি করা যাবে না।
হেয়ার মাস্ক
রুক্ষ চুলের সমস্যা মেটাতে হেয়ার মাস্ত জরুরি। বাজারচলতি মাস্ক ছাড়াও কলা, অলিভ অয়েল, দই, ডিম ব্যবহার করেও চুলের মাস্ক বানিয়ে নেওয়া যায়।