কৃতী শ্যানন। ছবি : ইনস্টাগ্রাম।
আশি থেকে নব্বইয়ের দশকে বলিউড ফ্যাশনে একচেটিয়া রাজত্ব করেছে শিফন শাড়ি। সে ‘চাঁদনি’র ‘তেরে মেরে হোঁট পে’ গানে শ্রীদেবী হোন বা ‘টিপ টিপ বরসা পানি’র রবিনা ট্যান্ডন কিংবা ‘বিজয়পথ’-এ উজ্জ্বল গোলাপি শিফনে তব্বুর ‘রাহ মে উনসে মুলাকাত’-এর দৃশ্য। আধাস্বচ্ছ শিফন শাড়িতে নায়িকারা পর্দায় এসে হাজির হলেই গান হিট। সুরেলা গান আর শিফন শাড়িতে নায়িকার নাচের দৃশ্যের সমীকরণ আজ অবধি ব্যর্থ হয়নি বলিউডে। নব্বইয়ের সেই ধারা আবার মনে করিয়ে দিলেন কৃতী শ্যানন।
দেশে এখন বিয়ের মরসুম। কৃতীও এক বিয়ের নিমন্ত্রণে হাজির হলেন মনীশ মালহোত্রর নকশা করা একটি শিফন শাড়ি পরে। শাড়ির রং ‘হট পিঙ্ক’। যদিও কৃতীকে সেই শাড়িতে দেখে অনুরাগীরা বলছেন, শাড়ির রঙ ‘হটেস্ট’ হয়ে গিয়েছে কৃতী শা়ড়িটি পরায়।
স্ফটিকের পুঁতির ভারী কাজের স্লিভলেস ব্লাউজ়ের সঙ্গে এক রঙা শিফন শাড়িটি পরেছেন কৃতী। শাড়িতে নকশা বলতে সরু স্ফটিকের নকশা করা ইঞ্চি পাড়়। তার সঙ্গে গলায় বা হাতে কোনও গয়না পরেননি কৃতী। শুধু কানে পরেছেন সামান্য বড় ঝোলা দুল। খোলা চুলে হালকা মেক আপে তাতেই কৃতীর থেকে চোখ ফেরানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ভক্তেরা। তবে অনেকে কৃতীর ওই শাড়ির সঙ্গে ‘বিজয়পথ’ ছবিতে পরা তব্বুর শাড়ির মিলও পেয়েছেন।
কৃতীর সাজ দেখে আলোচনা শুরু হয়েছে শিফন শাড়ির ফ্যাশনে ফেরা নিয়েও। আশি থেকে নব্বইয়ের দশকে শিফন শাড়ির কদর আকাশ ছুঁলেও পরবর্তী কালে বলিউডে এক রঙা শিফন শাড়ি কালেভদ্রে পরতে দেখা গিয়েছে নায়িকাদের। যদিও নায়িকারা যখনই শিফন পরে পর্দায় এসেছেন, তখনই তৈরি হয়েছে ম্যাজিক। ‘সূরজ হুয়া মধ্যম’ গানে কিংবা ‘রংদে মোহে গেরুয়া’ গানে শিফন শাড়িতে কাজলের কথাই ভাবুন। কিংবা ‘দেশি গার্ল’-এর প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, ‘বত্তমিজ় দিল’-এর দিপীকা পাড়ুকোন অথবা হালের ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’র আলিয়া ভট্ট তার প্রমাণ। কৃতীর ‘হট পিঙ্ক’ শিফন অবতারে তাই প্রশ্ন উঠেছে, বলিউডে কি নতুন করে প্রত্যাবর্তন ঘটতে চলেছে শিফনের?