ব্রণর নেপথ্য কারণ কী? ছবি: সংগৃহীত।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা মহিলাদের বেশির ভাগ শারীরিক সমস্যার অন্যতম কারণ। পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম থেকে হাইপোথাইরয়েডিজ়ম— হরমোনের ওঠানামার জেরে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা দেখা দেয়। এ তো গেল শরীরের বিষয়। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতা ছাড়াও ত্বকের উপরেও হরমোনের প্রভাব অনিবার্য। ব্রণ, ত্বকে কালো দাগছোপ, চোখের নীচের কালো দাগের নেপথ্যে সব সময় আবহাওয়া কিংবা অযত্ন থাকে না। হরমোনের আকস্মিক পরিবর্তনেও এমন হতে পারে। হরমোন ঘটিত এই গোলযোগ থেকে রেহাই পেতে দৈনন্দিন জীবনে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। সেগুলি কী?
১) চিনি বা মিষ্টিযুক্ত পানীয় শরীরে ইনসুলিনের সরবরাহ প্রতিরোধ করে। এই সমস্যা মহিলা এবং স্থূলকায় ব্যক্তিদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে চিনি এবং কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার তাই পুরোপুরি এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।
২) হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে খাদ্যতালিকায় প্রোটিন রাখতেই হবে। প্রোটিন অ্যামিনো অ্যাসিড সরবরাহ করে, যা শরীর নিজে থেকে তৈরি করতে পারে না। উপরন্তু, প্রোটিন হরমোন নিঃসরণকে প্রভাবিত করে। যা খিদে এবং খাবার খাওয়াও নিয়ন্ত্রণ করে। পেশি, হাড় এবং ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য প্রতিদিন মাছ, ডিম, সব্জি প্রভৃতি খাওয়া উচিত। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, প্রোটিন ‘ঘেরলিন’ নামক হরমোনের মাত্রা কমায় এবং হরমোন উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে। যার ফলে শরীর ভিতর থেকে তরতাজা থাকে। পাশাপাশি, ত্বকের সতেজতাও বজায় থাকে।
৩) অবসাদ আপনার প্রয়োজনীয় হরমোন ধ্বংস করে ফেলতে পারে। অবসাদ বা মানসিক চাপ দ্বারা প্রভাবিত দু’টি প্রধান হরমোন হল কর্টিসল এবং অ্যাড্রিনালিন। কর্টিসলকে ‘স্ট্রেস হরমোন’ বলা হয়। কারণ, এটি আপনার শরীরকে দীর্ঘমেয়াদে অবসাদ মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। অ্যাড্রিনালিন শরীরকে তাৎক্ষণিক বিপদে সাড়া দেওয়ার জন্য শক্তি সরবরাহ করে। অবসাদের ফলে এই হরমোনের ওঠাপড়ার প্রভাব পড়ে আপনার ত্বকেও।