কাঠকয়লার গুঁড়ো দিয়ে দাঁত মাজলে হলদেটে দাগছোপ দূর হয়। ছবি: সংগৃহীত।
উনুনের ছাই দিয়ে দাঁত মাজার ইতিহাস পুরনো। এখন সে সবের পাট নেই। তবে তার বদলে চারকোল বা কাঠকয়লার গুঁড়ো ইদানীং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সাধারণত পোড়া বা ঝলসানো খাবার তৈরি করতে কাঠকয়লা ব্যবহার করা হয়। তবে রূপচর্চার জগতে অনেক দিনই চারকোল বা কাঠকয়লার গুঁড়ো রাজত্ব করছে। দাঁতের দাগছোপ তুলতেও এই প্রাকৃতিক জিনিসটি তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু কী এমন আছে এই কাঠকয়লার গুঁড়োয়?
কাঠকয়লার গুঁড়ো আসলে এক ধরনের কার্বন। কাঠ, নারকেলের ছোবড়া নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পুড়িয়ে, বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে ‘সক্রিয়’ করে তোলা হয়। এই ‘সক্রিয় কাঠকয়লা’ ‘অ্যাক্টিভেটেড চারকোল’ দাঁতের হলদেটে দাগছোপ দূর করে। মুখগহ্বরের পিএইচের সমতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। খাবার কিংবা পানীয় থেকে দাঁতের উপরের স্তরে যে ধরনের দাগছোপ পড়ে, তা শুষে নেওয়ার ক্ষমতাও রাখে। তবে মাথায় রাখতে হবে, ঝলসানোর কাজে ব্যবহৃত কাঠকয়লা আর ‘সক্রিয় চারকোল’ কিন্তু এক নয়।
দিনে কত বার কাঠকয়লার গুঁড়ো দিয়ে দাঁত মাজা উচিত?
চারকোল বা কাঠকয়লার গুঁড়ো দাঁতের জন্য ভাল হলেও সপ্তাহে এক বা দু’বারের বেশি এই জিনিসটি ব্যবহার করা যাবে না। তাতে দাঁতের এনামেল নষ্ট হওয়ার প্রবণতা কমে। যাঁদের অভ্যাস নেই, তাঁরা শুরুতে এক বারের বেশি কাঠকয়লার গুঁড়ো ব্যবহার করবেন না। তবে দাঁত বা মাড়িতে কোনও রকম অস্বস্তি হলে বিরত থাকবেন।
কী ভাবে কাঠকয়লা দিয়ে দাঁত মাজবেন?
প্রথমে দাঁত মাজার ব্রাশটি জলে ভিজিয়ে নিন।
তার পর শুকনো চারকোল বা কাঠকয়লার গুঁড়োর মধ্যে ওই ব্রাশটি ডুবিয়ে নিন। কিন্তু খুব বেশি পরিমাণে চারকোল নেওয়া যাবে না।
মিনিট দুয়েক হালকা ভাবে দাঁতের উপর ব্রাশ ঘষে নিন। খুব বেশি চাপ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
তার পর ভাল করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দাঁতে যেন চারকোল বা কাঠকয়লার গুঁড়ো লেগে না থাকে।