রূপচর্চায় অনবদ্য মেথি। ছবি: সংগৃহীত।
শুধুমাত্র রান্নার মশলা হিসাবেই নয়, রূপচর্চাতেও মেথি অত্যন্ত কার্যকরী। প্রাচীনকাল থেকেই ত্বক ও চুলের যত্নে মেথি বীজ ব্যবহার করা হয়ে আসছে।
ত্বকের জন্য মেথি বীজের উপকারিতা:
মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি: মেথি বীজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বকের কোষগুলিকে রক্ষা করে এবং মুখের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে।
ব্রণ দূর করা: মেথির অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণাবলী ব্রণ ও ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
ত্বকের র্যাশ ও অ্যালার্জি প্রশমন: মেথি ত্বকের জ্বালা ভাব ও অ্যালার্জির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
শুষ্ক ত্বকের যত্ন: মেথি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং শুষ্ক ত্বককে মসৃণ করে তোলে।
বয়সের ছাপ দূর করা: মেথিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে বয়সের ছাপ কমাতে এবং দাগ ও বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে।
ত্বকের যত্নে অতুলনীয় মেথি। ছবি: সংগৃহীত
চুলের জন্য মেথি বীজের উপকারিতা
মেথি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল পড়া রোধ করে।
খুশকি দূর করা: মেথির অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণাবলী খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।
চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানো: মেথি চুলকে ঝকঝকে ও উজ্জ্বল করে তোলে।
নতুন চুল গজানো: মেথি চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং নতুন চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।
রূপচর্চায় মেথি ব্যবহারের কিছু টিপস
মুখের প্যাক: মেথি বীজ গুঁড়ো করে দই বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
চুলের প্যাক: মেথি বীজ সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন বীজ বেটে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগান। ১ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
মুখ ধোয়ার জন্য মেথি : আপনার প্রতিদিনের ফেস ওয়াশের সঙ্গে মেথি বীজ গুঁড়ো করে মিশিয়ে, সেটা দিয়ে মুখ ধুতে পারেন।
মেথি বীজ ব্যবহারের পূর্বে সতর্কতা:
যাঁদের ত্বক সংবেদনশীল, তাঁরা মেথি বীজ ব্যবহারের আগে, ত্বকের ছোট অংশে অল্প পরিমাণে পরীক্ষা করে নিন।
চোখের আশেপাশে মেথি বীজ ব্যবহার করা উচিত নয়।
অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন মহিলাদের মেথি বীজ সেবন করা উচিত নয়।
আপনার যদি কোনও ত্বকের সমস্যা থাকে, তাহলে মেথি বীজ ব্যবহারের আগে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
মেথি বীজ ত্বক ও চুলের জন্য প্রাকৃতিক ও কার্যকর একটি উপাদান। নিয়মিত মেথি বীজ ব্যবহার করে আপনি পেতে পারেন উজ্জ্বল মসৃণ ত্বক ও ঘন সুন্দর চুল।