চুলের সমস্যার দাওয়াই যখন আমলকি। ছবি: শাটারস্টক।
অনেকে সারা বছর ধরেই চুলের নানা সমস্যায় ভোগেন। আঁচড়াতে গেলেই গোছা গোছা চুল উঠে হাতে চলে আসে। যদিও চুল ওঠার জন্য শুধু মাত্র আবহাওয়াকে দায়ী করা যায় না। অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, কারও কারও ক্ষেত্রে শারীরিক এবং জিনঘটিত সমস্যাও থাকে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নানা রকম প্রসাধনী, নামীদামি সংস্থার তেল ব্যবহার করেও অনেক সময় কিছুই লাভ হয় না। চুলের নানা সমস্যায় কাজে লাগাতে পারেন আমলকি। চুলের সমস্যায় কী ভাবে কাজে লাগে এই ফল?
১) বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর আমলকিতে রয়েছে অজস্র ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস। তা মাথায় রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। ফলে চুলের ঘনত্ব বাড়ে তাড়াতাড়ি।
২) আমলকিতে রয়েছে ট্যানিন এবং ক্যালশিয়াম। অতিরিক্ত তাপ থেকে চুলের ক্ষতি রুখে দিতে পারে এই উপাদানগুলি। তাই চুল ঝরে পড়া অনেকটাই কমে যায়।
৩) আমলকির রস নিয়মিত কয়েক দিন মাথায় মাখলে চুল ঝরে পড়া অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। বিশেষ করে, হরমোনের মাত্রা কম-বেশি হওয়ার কারণে চুল পড়া প্রতিরোধ করতে পারে আমলকি।
৪) আমলকিতে রয়েছে কোলাজেন। যা চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগায়। মাথার ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় থাকে। খুশকির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে তাই আমলকিতে ভরসা রাখাই যায়।
৫) আমলকিতে ভিটামিন ই-র পরিমাণও বেশি। তাই শ্যাম্পু করার পর চুলের কন্ডিশনার হিসাবেও কাজ করে আমলকি। অতিরিক্ত রুক্ষ এবং পাকা চুলের জন্য আমলকির তেল বিশেষ ভাবে উপকারী।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
১) আমলকি ছোট ছোট টুকরো করে রোদে শুকিয়ে নিন। তার পর নারকেল তেলের সঙ্গে সেই টুকরোগুলি মিশিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে ঘন মিশ্রণ বানিয়ে নিন। নিয়মিত এই তেল দিয়ে মাথায় মালিশ করুন। চুলের একাধিক সমস্যার দাওয়াই হতে পারে এই তেল।
২) দইয়ের সঙ্গে আমলকি গুঁড়ো মিশিয়েও হেয়ার প্যাক বানিয়ে ফেলতে পারেন। এই প্যাক ব্যবহার করলে চুল মসৃণ এবং মজবুত হবে।