চোখ সুন্দর করতে অন্যতম সেরা হাতিয়ার কাজল। ছবি: সংগৃহীত
ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে অনেক সময় চোখে পড়ে যায় প্রিয়জনের চোখও। পুজোমণ্ডপে চোখে চোখ রেখে যে কত মানুষ মনের বিনিময় করেছেন তার ইয়ত্তা নেই। কাজেই চোখের সাজ নিখুঁত হতেই হবে। আর চোখ সুন্দর করতে অন্যতম সেরা হাতিয়ার কাজল। অথচ গরমের মধ্যে দীর্ঘ ক্ষণ কাজল পরে থাকলে তা লেপ্টে যাওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি। চলতি ভাষায় কাজল ঘেঁটে যাওয়াকে বলে স্মাজিং। রূপটান বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, সহজ কিছু নিয়ম মেনে চললে গরমে কাজল পরলেও এড়ানো যায় স্মাজিং।
চোখের অশ্রুরেখায় কাজল লাগান। ছবি: সংগৃহীত
১। কাজল লাগানোর আগে চোখের কোল, চোখের উপরের অংশ ভাল করে টিস্যুপেপার কিংবা পরিষ্কার রুমাল দিয়ে মুছে নিন। একটি সুতির কাপড়ের রুমালে বরফ নিয়ে, তা দিয়ে চোখে ও তার চার পাশে হালকা করে মালিশও করতে পারেন। এতে ঘাম, অতিরিক্ত তেল দূর হয়ে যাবে। দীর্ঘস্থায়ী হবে কাজল।
২। কাজল লাগানোর আগে প্রাইমার বেস লাগাতে ভুলবেন না। যখন রূপটান শুরু করছেন তখন চোখের চার পাশ যেন বাদ না যায়। এতে কাজল লাগানোও অনেক সহজ হবে। কাজল ঘাঁটবেও কম।
৩। চোখের চারপাশে বিবি ক্রিম বা সিসি ক্রিম দিয়ে হালকা হাতে মালিশ করুন। ক্রিম যেন পুরোপুরি ত্বকের সঙ্গে মিশে যায়। কাজল লাগানোর আগে এই কৌশল নিলে অতিরিক্ত তেলও চলে যায়, চোখের চার পাশ পরিষ্কারও হয়।
৪। যাঁদের ত্বক বেশি তেলতেলে তাঁরা চোখের কোণে জমা হওয়া অতিরিক্ত তেল সাফ করার জন্য একটি ইয়ার বাড দিয়ে হালকা করে পরিষ্কার করে নিতে পারেন চোখের কোণ।
৫। চোখের অশ্রুরেখায় কাজল লাগান। বেশি ভিতরের দিকে কাজল লাগাবেন না। ভিতরের দিকে জল বেশি থাকায় কাজল স্মাজ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। উপর ও নীচের অশ্রুরেখায় কাজল লাগানোর পরে জলে নষ্ট হয় না এমন আই লাইনার লাগিয়ে নিন তার উপরে। আইলাইনার কাজল ধরে রাখবে।
৬। কাজল লাগানোর পরে কালো আইশ্যাডো দিয়ে আরও একটি পরত দিন। এতে কাজল লেপ্টে গেলেও সহজে বোঝা যাবে না, আবার ধোঁয়াটে বা ‘স্মোকি লুক’-ও আসবে।